বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সংখ্যা কত ২০২৫ সালে ?

বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সংখ্যা কত ২০২৫


বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সংখ্যা ২০২৫

বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সংখ্যা (১৯৭১)

বাংলাদেশের নিরাপত্তার এবং প্রতিরক্ষার প্রধান বাহিনীর নাম "বাংলাদেশ সেনাবাহিনী"। যা ১৯৭১ সালে স্বাধীনতার মধ্য দিয়ে গঠিত হয়। তবে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সময় পশ্চিম পাকিস্তান থেকে ২৫,০০০ থেকে ৩০,০০০ সৈনিক পালিয়ে এসে মুক্তি বাহীনিতে যোগদেন। এসময় সাধারণ মানুষ প্রশিক্ষণ নিয়ে প্রায় ১ লক্ষ যোদ্ধা সরাসরি যুদ্ধে অংশ নিয়েছিলেন। স্বাধীনতা পরবর্তীতে এইসকল সৈনিকদের মধ্য থেকে নতুন করে ততকালীন বাংলাদেশ সেনাবাহীনি পূনর্গঠিত হয়।

বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সংখ্যা (২০২৫)

সর্বশেষ জরিপ অনুসারে, বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর বর্তমান সংখ্যা ২০২৫ সালে প্রায় ১,৬৩,০০০ জন সক্রিয় সদস্য। প্রতিবছর নতুন নিয়োগের মধ্য দিয়ে সেনাবাহিনীর সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। একই সাথে আন্তর্জাতিক শান্তি রক্ষী বাহিনীর চাহিদার প্রেক্ষিতে প্রতি বছর নতুন নিয়োগ দেওয়া হয়ে থাকে। এছাড়াও রিজার্ভ ফোর্স এবং আধাসামরিক বাহিনীর সদস্যদের মাধ্যমে সামরিক শক্তি আরো বৃদ্ধি পেয়েছে।

সেনাবাহিনীর বিভাগ ও শাখা:

বাংলাদেশ সেনাবাহিনী বিভিন্ন বিভাগ এবং শাখায় বিভক্ত। এর মধ্যে পায়ে হেঁটে যুদ্ধরত পদাতিক বাহিনী অন্যতম। এছাড়াও সাঁজোয়া কোর, আর্টিলারি, প্রকৌশল কোর এবং সিগন্যাল কোর উল্লেখযোগ্য। সেনাবাহিনীর কাছে হেলিকপ্টার, ট্যাংক এবং আধুনিক অস্ত্রশস্ত্র রয়েছে। এই সকল অস্ত্র সামরিক কার্যক্রমকে আরও কার্যকর করে তুলেছে।

সেনাবাহিনীর ভূমিকা ও কার্যক্রম:

বাংলাদেশ সেনাবাহিনী দেশের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্রধান ভূমিকা রাখে। পাশাপাশি প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলা, অবকাঠামো উন্নয়ন এবং জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা মিশনে অংশগ্রহণ করে থাকে। সেনাবাহিনীর সদস্যরা বিভিন্ন মানবিক সহায়তা এবং আন্তর্জাতিক মিশনে কাজ করে দেশের গৌরব বৃদ্ধি করে। সেনাবাহিনী পার্বত্য চট্টগ্রামসহ বিভিন্ন ঝুকিপূর্ণ অঞ্চলে নিরাপত্তা বজায় রাখতে কাজ করে।

ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা:

বাংলাদেশ সরকার সেনাবাহিনীকে আধুনিক করার জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। তার মধ্যে অন্যতম হলো প্রযুক্তি ও সরঞ্জাম দিয়ে আরও শক্তিশালী করা। এছাড়াও ২০৩০ সালের মধ্যে সেনাবাহিনীর সক্ষমতা ও সদস্য সংখ্যা আরও বাড়ানোর পরিকল্পনা রয়েছে। এই পরিকল্পনার মাধ্যমে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে আরও শক্তিশালী অবস্থান তৈরি করবে। বিশেষ করে, সাইবার নিরাপত্তা, বিমান প্রতিরক্ষা এবং সমুদ্র প্রতিরক্ষার ক্ষেত্রে উন্নয়নের উপর জোর দেওয়া হচ্ছে।

বাংলাদেশ সেনাবাহিনী দেশের প্রতিরক্ষা ও নিরাপত্তার মূল স্তম্ভ। এটি দেশের শান্তি, স্থিতিশীলতা এবং উন্নয়নের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। সেনাবাহিনীর সংখ্যা ও সামরিক সক্ষমতা বৃদ্ধি দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url
Advertisement