সৌদি আরব থেকে আমেরিকা যাওয়ার উপায় ও করণীয়
সৌদি আরব থেকে আমেরিকায় গেলে আরো উচ্চ বেতনের কাজ পাওয়ার সুযোগ পেলে বা আরো উন্নত জীবন যাপন করতে অনেকেই তথ্য এবং উপায় খুজে থাকেন। সৌদি আরবের তুলনায় আমেরিকায় সুযোগ-সুবিধা ও বেতন অনেক বেশি, তাছাড়া উন্নত স্বাস্থ্যসেবা, উন্নত কর্মসংস্থান, উন্নত অবকাঠামো এবং উন্নত শিক্ষা ব্যবস্থার সুযোগ রয়েছে।
তবে ভুলে গেলে চলবে না সৌদি আরবের তুলনায় আমেরিকায় ব্যয় অনেক বেশি।
আমেরিকায় উচ্চ দক্ষতা সম্পন্ন কর্মীদের চাহিদা সৌদি আরবের তুলনায় অনেক বেশি রয়েছে। এই দেশে বিশ্বের সেরা শিক্ষা ব্যবস্থা রয়েছে। সৌদি আরবের প্রবাসী ভাইদের এই সকল সুযোগ-সুবিধা আরো বেশি আকৃষ্ট করেছে। তাই তারা সৌদি আরব থেকে আমেরিকা যাওয়ার উপায় খুঁজেন। তাই আপনাদের জন্য এই আর্টিকেলে সৌদি আরব থেকে আমেরিকা যাওয়ার উপায় সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করা হয়েছে।
সৌদি আরব থেকে আমেরিকা যাওয়ার উপায়
- ভিজিট ভিসা (B-2): যদি কেউ আমেরিকা ভ্রমণ করতে যেতে চান তাহলে ভিজিট ভিসা আবেদন করতে পারেন।
- ওয়ার্ক পারমিট ভিসা: যদি কেউ আমেরিকা কাজ কারার জন্য যেতে চান তাহলে ওয়ার্ক পারমিট ভিসা আবেদন করতে পারেন।
- শিক্ষার্থী ভিসা (F-1): যদি কেউ আমেরিকা পড়াশুনার জন্য যেতে চান তাহলে শিক্ষার্থী ভিসা (F-1) আবেদন করতে পারেন।
- ব্যবসায়িক ভিসা (B-1): যদি কেউ আমেরিকা ব্যবসায় করার জন্য যেতে চান তাহলে ব্যবসায়িক ভিসা (B-1) আবেদন করতে পারেন।
এই ভিসাগুলো মধ্যে সৌদি আরব থেকে আমেরিকা যাওয়ার সবচেয়ে জনপ্রিয় এবং সহজ উপায় হলো ভিজিট ভিসা। এই ভিসার মধ্যেমে আপনি কম খরচে সৌদি আরব থেকে আমেরিকা যেতে পারবেন। তবে এই ভিসা পেতে হলে আপনার সৌদি আরবে একটি ভালো বেতনের চাকরি, ট্রাভেল ইতিহাস ও আর্থিক সক্ষমতার ডকুমেন্টস থাকা লাগবে। তাহলে আপনি খুব অল্প সময়ের মধ্যে ভিসা পেয়ে যাবেন।
সৌদি আরব থেকে আমেরিকা যাওয়ার আরো একটি সহজ উপায় হলো আমেরিকার ডিবি লটারি। ভাগ্য ভালো থাকলে ডিবি লটারিতে আপনার নাম উঠতে পারে। তখন আপনি সৌদি আরব থেকে খুব সহজে আমেরিকায় যেতে পারবেন।
আমেরিকার ভিসা আবেদন প্রক্রিয়া
সৌদি আরব থেকে আমেরিকা যাওয়ার জন্য কি কি কাগজপত্র লাগে
আমেরিকা যাওয়ার জন্য যে সকল কাগজপত্র লাগবে:
- ট্রাভেল ইন্সুরেন্স,
- স্ক্রিল সার্টিফিকেট,
- চাকরির সনদপত্র,
- ভিসা এপ্লিকেশন ফর্ম,
- কাজের অভিজ্ঞতার প্রমাণ,
- আমেরিকা ভিসা আবেদন ফি,
- মেডিকেল রিপোর্ট সার্টিফিকেট,
- শিক্ষাগত যোগ্যতার সার্টিফিকেট,
- পুলিশ ভেরিফিকেশন সার্টিফিকেট,
- পার্সোনাল আইডেন্টিটি ডকুমেন্টস,
- ইংরেজি ভাষা দক্ষতার সার্টিফিকেট,
- সাম্প্রতিক তোলা দুটি পাসপোর্ট সাইজের ছবি,
- একটি বৈধ পাসপোর্ট (সর্বনিম্ন দুই বছর মেয়াদ)।