কম খরচে ঢাকার আশেপাশে রিসোর্ট: কোথায়? খরচ কত? বিস্তারিত...

নাগরিক জীবনের ব্যস্ততার মাঝে মন বেকুল হয়ে ওঠে কোথাও ঘুরে আসার জন্য, কিন্তু সময়ের অভাবে কোথাও ঘুরতে যাওয়া হয় না। তাই ছুটি দিনগুলোতে পরিবার, বন্ধু বান্ধব বা আত্মীয় স্বজন নিয়ে ঢাকার আশেপাশে রিসোর্টে ঘুরে আসতে পারেন। এই আর্টিকেল থেকে ঢাকার ভিতরে রিসোর্ট গুলোর সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে জানতে পারবেন।

মাওয়া রিসোর্ট

ঢাকা থেকে মাত্র ৪৫ মিনিটের পথ পেরিয়ে মাওয়া রিসোর্টে আসতে পারবেন বাসে করে। মাওয়া চৌরাস্তা থেকে মাত্র আধা কি.মি. দূরে মাওয়া রিসোর্টি অবস্থিত। পদ্মা নদীর পাড়ে অবস্থিত এই মাওয়া রিসোর্টটি। প্রকল্পটির প্রতিষ্ঠাতা আবুল কাশেম হাওলাদার মৎস্য শিকারের শখ থেকে পারিবারিক খামার বাড়ী থেকে প্রকল্পটির যাত্রা শুরু করেন। যা বর্তমানে পরিপূর্ণ একটি রিসোর্টে রূপান্তরিত হয়েছে।

পদ্মা রিসোর্ট

ঢাকা থেকে মাত্র ৫০ কি.মি. দূরে মুন্সীগঞ্জ জেলার লৌহজং থানার পাশে পদ্মা নদীর বুকে গড়ে ওঠেছে পদ্মা রিসোর্টি। যারা কর্ম ব্যস্ত শহরের গন্ডি পেরিয়ে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করতে চান, তাদের জন্য খুব সুন্দর একটি স্থান। তাই চাইলে ছুটির দিনে ব্যস্ত শহর ছেড়ে কিছুটা দূরে পরিবার-পরিজনদের নিয়ে সময় কাটাতে আসতে পারেন।

ঠিকানা রিসোর্ট

গুলিস্তান থেকে মাত্র ৫৬ মিনিট. পথ অতিক্রম করে ঠিকানা রিসোর্টে আসতে পারবেন। রিসোর্টি চারদিক জাপান থেকে আমদানি করা বিভিন্ন ধরনের ফুল দিয়ে সাজানো। যার কারণে রিসোর্টি দেখতে অনেক সুন্দর লাগে। এই প্রকল্পটির প্রতিষ্ঠাতা এবং ম্যানেজার "তায়্যেবা আফরিন" ব্যক্তিগত উদ্যোগে ঠিকানা রিসোর্টি গড়ে ওঠেছে।

ঢালি'স আম্বার নিবাস

ঢালী’স আম্বার নিবাস রিসোর্টি ঢাকা থেকে মাত্র ৫৪.৮ কি.মি. দূরের বাহেরকচি গ্রামে অবস্থিত। এই রিসোর্ট প্রায় ৬৩ একর জমির উপর নির্মাণ করা হয়েছে। দেশের সবচেয়ে বড় সুইমিং পুলটি এই রিসোর্ট রয়েছে। প্রকল্পটির প্রতিষ্ঠাতা মেহজুবা ইসলাম নাহিন প্রথমে এই নিবাসটি শুধু নিজেদের বাড়ির মতো ব্যবহার করতে, পারে এটি পরিপূর্ণ রিসোর্ট রূপান্তরিত করেন।

জিওন রিসোর্ট

ঢাকা থেকে মাত্র ২০-৩০ মিনিটের পথ অতিক্রম করে জিওন রিসোর্ট আসতে পারবেন। এখানে রয়েছে বাচ্চাদের খেলার জায়গা, একটি সুইমিংপুল এবং একটি মিনি চিড়িয়াখানা। এই রিসোর্টিতে ১০টি রুম রয়েছে যেখানে পর্যটকরা দিন অথবা রাত্রি যাপন করতে পারবেন।

ঠিকানা ভিলেজ

ঠিকানা ভিলেজটি ঢাকা ভিতরে অবিস্থত। ১০০ ফিট রোড থেকে যেতে মাত্র ১১ মিনিট সময় লাগে। এই রিসোর্টিতে পর্যটকরা গ্রামীণ পরিবেশ ও গ্রামীণ খাবারের স্বাদ উপভোগ করতে আসেন। যারা গ্রামীণ পরিবেশ অনেক বেশি পছন্দ করেন তারা এই রিসোর্টিতে আসার সিদ্ধান্ত নিতে পারেন।