প্রমিত বাংলা বানানের নিয়ম কাকে বলে? (২৩ টি নিয়ম পড়ুন....)
বাংলা ভাষায় একই ধরণের বর্ণ যেমন স, ষ, শ আবার ন, ণ প্রভৃতি রয়েছে। তাই উচ্চারণ প্রায় একই রকমের হওয়ায় একেক জন একেক বর্ণ ব্যাবহার করতে দেখা যায়। একারণে বাংলা ভায়ার বানানের তারতম্য বা ভিন্নতা দেখা দেয়। বিশেষ করে বিদেশী ভাষার শব্দের ক্ষেত্রে বানানের তারতম্য বেশি দেখা যায়। তাই বাংলা ভাষার বানানের এই জটিলতা নিরসনের জন্য বাংলা একাডেমি কর্তৃক ১৯৯২ সালে বাংলা বানানের নির্দিষ্ট নিয়ম-নীতি সংরক্ষিত হয়, যাতে সর্বত্র একই বানানের ব্যাবহার হয়। এরপর ১৯৯৪ সালে পূণরায় বাংলা বানানের সংস্কার করা হয়।
প্রমিত বাংলা বানানের নিয়ম কাকে বলে?
বিশ্বের সর্বত্র বাংলা ভাষার বানানের ভিন্নতা দুর করার লক্ষ্যে বাংলা একাডেমি কর্তৃক গৃহীত বাংলা বানানের নিয়মসমূহকে প্রমিত বাংলা বানান বলে।
প্রমিত বাংলা বানানের নিয়ম:
তৎসম শব্দ
- নিম্নে বর্ণিত ব্যতিক্রম ব্যাতীত অন্য সকল সংস্কৃত বা তৎসম শব্দের সুনির্দিষ্ট বানান অপরিবর্তিত থাকবে।
- যেসকল তৎসম শব্দে ই ঈ বা উ উ উভয় শুদ্ধ কেবল সেসব শব্দে ই বা উ এবং তার কারচিহ্ন হবে। যেমন : খঞ্জনি, কিংবদন্তি, চিৎকার, তরণি, চুল্লি, ধমনি, নাড়ি, ধরণি, পঞ্জি, পল্লি, পদবি, ভঙ্গি, মসি, মঞ্জরি, যুবতি, রচনাবলি, লহরি, শ্রেণি, সূচিপত্র; সরণি, উর্ণা, উষা ৷
- ব্যঞ্জনবর্ণের দ্বিত্ব হবে না রেফের পর । যেমন : উর্দ্ধ, অৰ্জ্জুন, কৰ্ম্ম, কাৰ্ত্তিক, বার্দ্ধক্য, কাৰ্য্য, মূৰ্চ্ছা, সূৰ্য্য ইত্যাদির পরিবর্তে যথাক্রমে ঊর্ধ্ব, অর্জন, কর্ম, কার্তিক, বার্ধক্য, কার্য, মূর্ছা, সূর্য ইত্যাদি হবে।
- সন্ধির ক্ষেত্রে পূর্ব পদের অন্তস্থিত ম্ স্থানে অনুস্বার (ং) হবে যদি ক খ গ ঘ পরে থাকে। যেমন : অহম্ + কার = অহংকার, এভাবে সংগীত, ভয়ংকর, শুভংকর, সংঘটন, হৃদয়ংগম ।
- সন্ধিবদ্ধ না হলে কখনো ঙ এর স্থানে ং হবে না । যেমন : অঙ্গ, অঙ্ক, আকাঙ্ক্ষা, কঙ্কাল, আতঙ্ক, গঙ্গা, বঙ্কিম, লঙ্ঘন, বঙ্গ, শঙ্কা, সঙ্গে, শৃঙ্খলা, সঙ্গী ।
- সংস্কৃত ব্যাকরণের নিয়ম অনুযায়ী সংস্কৃত ইন্-প্রত্যয়ান্ত শব্দের দীর্ঘ ঈ-কারান্ত রূপ সমাসবদ্ধ হলে সেগুলিতে হ্রস্ব ই- কার হয়। যেমন : প্ৰাণী → প্রাণিবিদ্যা, গুণী → গুণিজন, মন্ত্রী → মন্ত্রিপরিষদ।
- তবে উপরোক্ত সমাসবদ্ধ রূপে ঈ-কারের ব্যবহারও চলতে পারে। যেমন : গুণীজন, প্রাণী → প্ৰাণীবিদ্যা, মন্ত্রী→ গুণী মন্ত্রীপরিষদ ।
- ইন্-প্রত্যয়ান্ত শব্দের সঙ্গে ই- কার হবে যদি -ত্ব ও -তা প্রত্যয় যুক্ত হয় । যেমন : প্রতিযোগী→ প্ৰতিযোগিতা, কৃতী→ কৃতিত্ব, সহযোগী→ সহযোগিতা, দায়ী→ দায়িত্ব, মন্ত্রী → মন্ত্রিত্ব ।
- বিসর্গ (ঃ) শব্দের শেষে বিসর্গ (ঃ) থাকবে না। যেমন : কার্যত, ইতস্তত, ক্রমশ, পুনঃপুন, প্ৰধানত, প্রথমত, প্রয়াত, ফলত, প্রায়শ, বস্তুত, মূলত। এছাড়া নিম্নলিখিত ক্ষেত্রে শব্দমধ্যস্থ বিসর্গ-বর্জিত রূপ গৃহীত হবে। যেমন : নিস্তব্ধ, দুস্থ, নিশ্বাস, নিস্পৃহ ।
অতৎসম শব্দ
- ই, ঈ, উ, ঊ
- সকল অতৎসম শব্দে অর্থাৎ দেশি, বিদেশি, তদ্ভব, মিশ্র শব্দে কেবল ই এবং উ এবং এদের কারচিহ্ন নি ব্যবহৃত হবে। যেমন : আসামি, আরবি, ইংরেজি, ইরানি, ইমান, উনিশ, কাহিনি, ওকালতি, কুমির, খুশি, কেরামতি, খেয়ালি, গোয়ালিনি, গাড়ি, চাচি, জাপানি, জমিদারি, জার্মানি, তরকারি, টুপি, দাড়ি, দাবি, দাদি, দিঘি, নানি, দিদি, নিচু, পাখি, পশমি, পাগলামি, পিসি, পাগলি, ফরাসি, ফারসি, ফরিয়াদি, ফিরিঙ্গি, বাঁশি, বর্ণালি, বাঙালি, বিবি, বাড়ি, বুড়ি, বেশি, বেআইনি, বোমাবাজি, ভারি (অত্যন্ত অর্থে), মালি, মামি, মাসি, মাস্টারি, রুপালি, রানি, রেশমি, শাড়ি, সিন্ধি, সরকারি, সোনালি, হিজরি, হাতি, হিন্দি, হেঁয়ালি ।
পুজো, চুন, পুব, মুলো, মুলা । - পদাশ্রিত নির্দেশক হিসেবে টি-তে ই-কার ব্যাবহৃত হবে। যেমন : বইটি, ছেলেটি, লোকটি ।
- বিশেষণ, ক্রিয়া-বিশেষণ, সর্বনাম ও যোজক পদরূপের শব্দটি ঈ-কার দিয়ে লিখতে হবে। যেমন : কী আনন্দ! এটা কী বই? কী আর বলব? কী করে যাব? কী করছ? কী খেলে? কী জানি? তোমার কী। কী দুরাশা! কী বুদ্ধি নিয়ে এসেছিলে! কী যে করি! কী পড়ো?
- কীরকম, কীরূপে, কীভাবে, প্রভৃতি শব্দেও ঈ-কার হবে । যেসব প্রশ্নবাচক বাক্যের উত্তর সংক্ষিপ্ত আকারে হ্যাঁ বা না হবে, সেইসব বাক্যে ব্যবহৃত 'কি' হ্রস্ব ই-কার দিয়ে লিখতে হবে। যেমন : সে কি এসেছিল? তুমি কি যাবে?
- সকল অতৎসম শব্দে অর্থাৎ দেশি, বিদেশি, তদ্ভব, মিশ্র শব্দে কেবল ই এবং উ এবং এদের কারচিহ্ন নি ব্যবহৃত হবে। যেমন : আসামি, আরবি, ইংরেজি, ইরানি, ইমান, উনিশ, কাহিনি, ওকালতি, কুমির, খুশি, কেরামতি, খেয়ালি, গোয়ালিনি, গাড়ি, চাচি, জাপানি, জমিদারি, জার্মানি, তরকারি, টুপি, দাড়ি, দাবি, দাদি, দিঘি, নানি, দিদি, নিচু, পাখি, পশমি, পাগলামি, পিসি, পাগলি, ফরাসি, ফারসি, ফরিয়াদি, ফিরিঙ্গি, বাঁশি, বর্ণালি, বাঙালি, বিবি, বাড়ি, বুড়ি, বেশি, বেআইনি, বোমাবাজি, ভারি (অত্যন্ত অর্থে), মালি, মামি, মাসি, মাস্টারি, রুপালি, রানি, রেশমি, শাড়ি, সিন্ধি, সরকারি, সোনালি, হিজরি, হাতি, হিন্দি, হেঁয়ালি ।
- এ, অ্যা
- বাংলায় -েকার বা এ বর্ণ দিয়ে এ এবং অ্যা এই উভয় ধ্বনি নিদের্শিত হয়। যেমন : কেনো (ক্রয় করো), কেন; খেলি; খেলা, গেল, গেছে; গেলে, দেখা, জেনো, দেখি; যেন ।
- বিশেষভাবে দেশি শব্দ এবং কিছু তদ্ভব শব্দ রয়েছে যেগুলির ্যা-কার যুক্ত রূপ বহুল ব্যাবহৃত হয়। যেমন : ল্যাঠা, ব্যাঙ ।
- এসব শব্দে ্যা অপরিবর্তিত থাকবে । বিদেশি শব্দে ক্ষেত্র-অনুযায়ী অ্যা বা ্যা-কার ব্যবহৃত হবে। যেমন : অ্যান্ড (and), অ্যাকাউন্ট, ক্যাসেট, অ্যাসিড, ব্যাংক, ম্যানেজার, ভ্যাট, হ্যাট ।
- ও
- বাংলা অ-ধ্বনির উচ্চারণ বহু ক্ষেত্রে ও-র মতো হয়, এক্ষেত্রে শব্দের শেষের এসব অ-ধ্বনি ও-কার দিয়ে লেখা যাবে । যেমন : খাটো, কালো, ছোটো, এগারো, ভালো; বারো, তেরো, পনেরো, ষোলো, সতেরো, আঠারো;
খাওয়ানো, করানো, চড়ানো, চরানো, দেখানো, চালানো, নামানো, বসানো, শোনানো, পাঠানো, শেখানো, হাসানো;
নিকানো, কুড়ানো, বাঁকানো, ঘোরালো, বাঁধানো, জোরালো, প্যাঁচানো; ধারালো,
করো, জেনো, চড়ো, ধরো, বলো, পড়ো, বসো, করাতো, শেখো; কেনো, হতো, দেবো, হবো, কোনো, হলো; মতো । - ভবিষ্যৎ অনুজ্ঞায় শব্দের আদিতেও ও-কার লেখা যেতে পারে ৷ যেমন : বোলো, কোরো, বোসো।
- বাংলা অ-ধ্বনির উচ্চারণ বহু ক্ষেত্রে ও-র মতো হয়, এক্ষেত্রে শব্দের শেষের এসব অ-ধ্বনি ও-কার দিয়ে লেখা যাবে । যেমন : খাটো, কালো, ছোটো, এগারো, ভালো; বারো, তেরো, পনেরো, ষোলো, সতেরো, আঠারো;
- ९,ঙ
- শব্দের শেষে প্রাসঙ্গিক ক্ষেত্রে সাধারণভাবে অনুস্বার (ং) ব্যবহৃত হবে। যেমন : গাং, পালং, ঢং, রং, স,ং রাং ।
- তবে অনুস্বারের সঙ্গে স্বর যুক্ত হলে ও হবে। যেমন : বাঙালি, ভাঙা, রঙিন, রঙের ।
- বাংলাদেশ ও বাংলা শব্দে অনুস্বার থাকবে ।
- ক্ষ,খ
- অতৎসম শব্দ খুদ, খিদে, খুদে, খেত; খুর (গবাদি পশুর পায়ের শেষ প্রান্ত), খ্যাপা ইত্যাদি লেখা হবে ।
- জ, য
- বাংলা ভাষায় প্রচলিত বিদেশি শব্দ সাধারণভাবে বাংলা ভাষার ধ্বনিপদ্ধতি অনুযায়ী লিখতে হবে। যেমন : জাদু, কাগজ, জাহাজ, জেব্রা, জুলুম, হাজার, বাজার ।
- ইসলাম ধর্ম-সংক্রান্ত কয়েকটি শব্দে বিকল্পে ‘য' লেখা যেতে পারে। যেমন : ওযু, আযান, কাযা, মুয়ান, নামায, রমযান, যোহর, হযরত ।
- মূর্ধন্য ণ, দন্ত্য ন
- কখনো অতৎসম শব্দের বানানে ণ ব্যবহার করা যাবে না। যেমন : অঘ্রান, কান, ইরান, কোরান, শুনতি, গভর্নর, গোনা, ধরন, ঝরনা, পরান, সোনা, রানি, হর্ন।
- তৎসম শব্দে ট ঠ ড ঢ-য়ের পূর্বে যুক্ত নাসিক্যবর্ণ ণ হবে, যেমন : প্রচণ্ড, কণ্টক, লুন্ঠন।
- কিন্তু অতৎসম শব্দের ক্ষেত্রে ট ঠ ড ঢ-য়ের আগে কেবল ন হবে। যেমন : ঝান্ডা, গুন্ডা, ঠান্ডা, লণ্ঠন, ডান্ডা ।
- শ, ষ, স
- কেবল বিদেশি শব্দের ক্ষেত্রে 'ষ' ব্যবহারের প্রয়োজন নেই। যেমন : নাশতা, কিশমিশ, পোশাক, শখ, বেহেস্ত, শয়তান, শরম, শরবত, শহর, শার্ট, শামিয়ানা, শৌখিন; জিনিস, আপস, মসলা, সাদা, সন, সাল (বৎসর), হিসাব; স্মার্ট, স্টল, স্টিমার, স্টাইল, স্ট্রিট, স্টেশন, স্টুডিয়ো, স্টোর ।
মুসলমান, ইসলাম, সালাত, তসলিম, মুসলিম, সালাম; এশা, শাবান (হিজরি মাস), শাওয়াল (হিজরি মাস) । - ইংরেজি ও ইংরেজির মাধ্যমে আগত বিদেশি S ধ্বনির জন্য স এবং -sh, -ssion, -sion, -tion প্রভৃতি বর্ণগুচ্ছ বা ধ্বনির জন্য শ ব্যবহৃত হবে। যেমন : বাস; পাসপোর্ট, ক্যাশ; মিশন, টেলিভিশন; সেশন; স্টেশন, রেশন ।
- যেসব বাংলা শব্দে বিদেশি শব্দের বানান পরিবর্তিত হয়ে স হু- এর রূপ লাভ করেছে সেখানে ছ-এর ব্যবহার থাকবে । যেমন : তছনছ, পছন্দ, মিছরি, মিছিল ।
- কেবল বিদেশি শব্দের ক্ষেত্রে 'ষ' ব্যবহারের প্রয়োজন নেই। যেমন : নাশতা, কিশমিশ, পোশাক, শখ, বেহেস্ত, শয়তান, শরম, শরবত, শহর, শার্ট, শামিয়ানা, শৌখিন; জিনিস, আপস, মসলা, সাদা, সন, সাল (বৎসর), হিসাব; স্মার্ট, স্টল, স্টিমার, স্টাইল, স্ট্রিট, স্টেশন, স্টুডিয়ো, স্টোর ।
- বিদেশি শব্দ ও যুক্তবর্ণ
- যখন বাংলায় বিদেশি শব্দের আদিতে বর্ণ বিশ্লেষ সম্ভব নয়। তখন যুক্তবর্ণ দিয়ে লিখতে হবে। যেমন: স্টেশন, স্প্রিং, স্ট্রিট ।
- তবে অন্য ক্ষেত্রে বিশ্লেষ করা যায়। যেমন : শেকসপিয়র, মার্কস, ইসরাফিল ।
- হস-চিহ্ন
- হস-চিহ্ন যথাসম্ভব বর্জন করা হবে। যেমন : করলেন, কলকল, কাত, চেক, চট, জজ, টক, ঝরঝর, টন, ডিশ, টাক, তছনছ, বললেন, ফটফট, শখ, হুক।
- তবে যদি অর্থবিভ্রান্তি বা ভুল উচ্চারণের আশঙ্কা থাকে তাহলে হস-চিহ্ন ব্যবহার করা যেতে পারে। যেমন : বাহ্, উহ্, যাহ্।
- ঊর্ধ্ব-কমা
- ঊর্ধ্ব-কমা যথাসম্ভব বর্জন করা হবে। যেমন : বলে (বলিয়া), চাল (চাউল), হয়ে, আল (আইল), দুজন ।
বিবিধ
- সমাসবৃদ্ধ শব্দগুলি যথাসম্ভব একসাথে লিখতে হবে। যেমন : অনাস্বাদিতপূর্ব, অদৃষ্টপূর্ব, নেশাগ্রস্ত, পূর্বপরিচিত, পিতাপুত্ৰ, বিষাদমণ্ডিত, রবিবার, মঙ্গলবার, লক্ষ্যভ্রষ্ট, সংযতবাক, সংবাদপত্র, সমস্যাপূর্ণ, স্বভাবগতভাবে।
- বিশেষ প্রয়োজনে (একসাথে লেখা না গেলে) সমাসবদ্ধ শব্দটিকে এক বা একাধিক হাইফেন (-) চিহ্ন দিয়ে যুক্ত করা যাবে। যেমন : জল-স্থল-আকাশ, কিছু-না-কিছু, বাপ-বেটা, মা-মেয়ে, বেটা বেটি, মা-ছেলে ।
- সাধারণভাবে বিশেষণ পদ পরবর্তী পদের সাথে যুক্ত করা যাবে না। যেমন : লাল গোলাপ, ভালো দিন, সুগন্ধ ফুল, সুন্দরী মেয়ে, সুনীল আকাশ, স্তব্ধ মধ্যাহ্ন ।
- সর্বদা না-বাচক না এবং নি-এর প্রথমটি (না) স্বতন্ত্র পদ হিসেবে এবং দ্বিতীয়টি (নি) সমাসবদ্ধ হিসেবে ব্যবহার করতে হবে। যেমন : কিন্তু করিনি, করি না ।
- তাছাড়া উল্লেখ্য যে শব্দের পূর্বে না-বাচক উপসর্গ ‘না' উত্তরপদের সঙ্গে যুক্ত থাকবে। যেমন : নারাজ, নাবালক, নাহক ।
- অর্থ পরিস্ফুট করার জন্য কোনো কোনো ক্ষেত্রে প্রয়োজন অনুভূত হলে না-এর পর হাইফেন ব্যবহার করা যায় ৷ যেমন : না-গোনা পাখি, না-বলা বাণী, না-শোনা কথা ।
- অধিকন্তু অর্থ প্রকাশের জন্য ব্যবহৃত ‘ও’ প্রত্যয় শব্দের সঙ্গে কার-চিহ্ন রূপে যুক্ত না হয়ে সবসময় পূর্ণ রূপে শব্দের পর যুক্ত করতে হবে। যেমন : আমারও, আজও, কালও, তোমারও।
- নিশ্চয়ার্থক অর্থ প্রকাশের জন্য ব্যাবহৃত ‘ই' শব্দের সঙ্গে কার-চিহ্ন রূপে যুক্ত না হয়ে পূর্ণ রূপে শব্দের পরে যুক্ত হবে। যেমন : এখনই, আজই ।
প্রতিষ্ঠান, ব্যক্তি বা সংস্থার নাম
- প্রতিষ্ঠান, ব্যক্তি বা সংস্থার নাম এই নিয়মের আওতাভুক্ত নয় ।