গর্ভাবস্থায় কি কি কাজ করা নিষেধ ও গর্ভের সন্তান সুস্থ রাখতে করনীয়
একজন নারীর জীবনে শারীরিক ও মানসিক উভয় ধরণের পরিবর্তন দেখা যায় গর্ভাবস্থায়। একজন গর্ভবতী নারী চাইলেই সব কিছু করতে পারেন না, কারণ তার উপর পেটের অনাগত বাচ্চার সুস্থতা নির্ভর করে। তাই প্রত্যেক গর্ভবতী নারীকে বেশ কিছু নিয়ম কানুন মেনে চলতে হয়। তাই এই পোস্টের মাথ্যমে আমরা জানবো গর্ভাবস্থায় কি কি করা যাবে আর কি করা যাবেনা।
গর্ভাবস্থায় কি কি কাজ করা নিষেধ
গর্ভাবস্থায় একটানা দীর্ঘ সময় কাজ করা শরীরের জন্য খুবি ক্ষতিকর। এ সময় টুকটাক কাজ করতে পারবেন ভারী কাজ করা থেকে বিরত থাকতে হবে। নিচে এ বিষয়ে বিস্তারিত তুলে ধরা হয়েছে।
- ভারী কোন জিনিস তোলা যাবে না।
- উপর হয়ে বা ঝুঁকে কাজ করা যাবে না।
- উঁচু জুতা পরা থেকে বিরত থাকতে হবে।
- একটানা অনেকক্ষণ দাঁড়িয়ে অথবা পা ঝুলিয়ে বসে থাকা যাবে না।
- টাইট ফিট জামা-কাপড় পরা থেকে বিরত থাকতে হবে।
- ক্যাফেইন জাতীয় খাবার খাওয়া যাবে না।
- পেটে চাপ পরবে, এমন কাজ থেকে বিরত থাকতে হবে।
- কাঁচা বা আধসিদ্ধ মাছ, মাংস ও ডিম খাবেন না।
- উপর বা চিৎ হয়ে শোয়া যাবে না।
- অতিরিক্ত শুয়ে থাকা যাবে না।
- চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া কোনো প্রকার এন্টিবায়োটিক গ্রহণ করা যাবে না।
- গর্ভাবস্থা নিয়ে গ্রামের মানুষদের মধ্যে অনেক ভুল ধারণা আছে, এসব কথায় কান না দিয়ে ডাক্তারের পরামর্শে চলতে হবে।
গর্ভের সন্তান সুস্থ রাখতে করনীয়
গর্ভের সন্তান সুস্থ রাখতে হলে গর্ভবতী মাকে আগে সুস্থ, হাসিখুশি ও টেনশন মুক্ত থাকতে হবে। গর্ভের সন্তানকে সুস্থ রাখতে গর্ভবতী মাকে যে সব সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে তা নিচে দেওয়া হল।
- নিয়মিত গাইনি ডাক্তারের চেকআপে থাকতে হবে।
- দুর্ঘটনা হতে পারে এমন কাজ করা যাবে না।
- গর্ভের সন্তানের নাড়াচাড়া খেয়াল রাখতে হবে।
- সঠিক পরিমান পানি ও পুষ্টিকর খাবার গ্রহণ করতে হবে।
- স্বাভাবিক হাঁটাচলা ও সংসারের টুকিটাকি কাজ করতে হবে।
- আইরন ও ভিটামিন ট্যাবলেট সেবন করতে হবে (গাইনি ডাক্তারের পরামর্শে)।
- প্রয়োজন হলে দেরি না করে ডাক্তারের পরামর্শ গ্রহণ করতে হবে।