ম্যাগমিল সিরাপ : দাম, কাজ ও খাওয়ার নিয়ম [Magmil Syrup in Pregnancy Bangla]

চিনিমুক্ত ম্যাগমিল®
সবচেয়ে কম ডোজে ও খরচে কার্যকরী
[দি সুপার ল্যাক্সেটিভ]
ম্যাগমিল সিরাপের কাজ:
ম্যাগনেসিয়াম হাইড্রোক্সাইড, সরবিটল, গ্লিসারিন, কার্বক্সিমিথাইল সেলুলোজ (সিএমসি) সোডিয়াম এবং মাইক্রোক্রিস্টালাইন সেলুলোজ (এভিসেল), তাদের নিজস্ব "রাসায়নিক ধর্ম ছাড়াও" রেচক, পিচ্ছিলকারক এবং মল নরমকারী হিসেবে কাজ করে। এই সমন্বিত রেচন প্রক্রিয়া, যা রাসায়নিক উপাদানসমূহের উৎকৃষ্ট উৎস এবং সঠিক আনুপাতিক মিশ্রণের ফসল, ম্যাগমিল® কে সুপার ল্যাক্সেটিভ-এ পরিণত করেছে যা সবচেয়ে কম মাত্রায় কাঙ্ক্ষিত রেচন (excretion) প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে।
এছাড়া পাকস্থলীর এসিড সংক্রান্ত রোগে এটি এন্টাসিড হিসেবে ত্বরিৎ উপশম দেয়।
ম্যাগমিল সিরাপ খাওয়ার নিয়ম
ল্যাক্সেটিভ (Laxative) হিসেবে খাওয়ার নিয়ম:
মিল্ক অব ম্যাগনেসিয়া (ম্যাগনেসিয়াম হাইড্রোক্সাইড ইউএসপি ৪০০ মিগ্রা/৫ মিলি) এর সাধারণ মাত্রা ৫-১০ চা চামচ এক গ্লাস পানির সাথে বিছানায় যাওয়ার পূর্বে অথবা চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী সেব্য।
কিন্তু ম্যাগমিল® এর মত সুপার ল্যাক্সেটিভ বেশিরভাগ অভ্যাসগত কোষ্ঠকাঠিন্যে ২-৩ চা চামচ প্রারম্ভিক মাত্রাতেই আশানুরূপ ফল প্রদান করে। কোন কারণে কাঙ্ক্ষিত ফল না পেলে ১ চা চামচ করে মাত্রা বাড়িয়ে সর্বোচ্চ ৫ চা চামচ করা যাবে (যদিও ডাক্তারগণ ২-৩ চা চামচের মধ্যে মাত্রা সীমিত রাখেন)।
প্যাসিফিকের বর্তমান বাজারজাতকৃত ম্যাগমিল® এর সাধারণ মাত্রা ১-২ চা চামচই যথেষ্ট এবং মৃদু থেকে মাঝারি অবস্থার জন্য শুধুমাত্র ১ চা চামচেই প্রত্যাশিত ফল পাওয়া যায়। প্রয়োজনে পর্যায়ক্রমে ৩-৪ চা চামচ পর্যন্ত দেয়া যাবে। প্রচন্ড কোষ্ঠকাঠিন্যে সর্বোচ্চ ৫ চামচ পর্যন্ত দেয়া যেতে পারে।
এন্টাসিড হিসেবে খাওয়ার নিয়ম:
মৃদু থেকে মাঝারি অবস্থায় : সাধারণত: খাওয়ার ১ ঘন্টা পরে ১ চা চামচ করে দৈনিক ২ বারই যথেষ্ট। সর্বোচ্চ ১ চা চামচ করে দৈনিক ৩ বার খাওয়া যেতে পারে। তবে অবশ্যই লক্ষ্য রাখতে হবে (ম্যাগমিল ও সুপার ল্যাক্সেটিভ হবার কারণে) মল যেন খুব নরম প্রকৃতির না হয়। তরল মলত্যাগ হলে দৈনিক ১ চা চামচ করে ২ বারের মধ্যে মাত্রা সীমিত রাখতে হবে । এমনকি ১ চা চামচের মধ্যে সীমিত করা যেতে পারে।
পার্শ্ব-প্রতিক্রিয়া :
উচ্চ মাত্রা সেবনে ডায়রিয়া এবং পেটের ব্যথা লক্ষ্যণীয়। যাদের কিডনির কার্য্যক্ষমতা দুর্বল তাদের ক্ষেত্রে মাথা ঘোরা এবং মাংসপেশীর দুর্বলতা দেখা যায়৷
যে সব ক্ষেত্রে দেয়া যাবে না :
তীব্র মাইওকার্ডিয়াল ইনফার্কশন, কিডনির অকার্য্যকারিতা (ম্যাগনেসিয়াম সঞ্চিত হবার ঝুঁকি), যেক্ষেত্রে কোনও ল্যাক্সেটিভ ব্যবহার করা যাবে না এবং পাকস্থলীর তীব্র সমস্যায়।
অন্য ঔষধের সাথে বিক্রিয়া :
ম্যাগনেসিয়াম হাইড্রোক্সাইড, টেট্রাসাইক্লিন, আয়রন, ফিনাইটইন এবং পেনিসিলামাইন শোষণে বাধা প্রদান করে। এই পারস্পরিক ক্রিয়াকে কমানো যায় যদি অন্যান্য ঔষধ সেবনের ২ থেকে ৩ ঘন্টা সময়ের আগে বা পরে ইহা গ্রহণ করা হয়।
ম্যাগমিল সিরাপের দাম কত?
- ২০০ মিলি ম্যাগমিল সিরাপ এর দাম ১৮০ টাকা মাত্র।
- ১০০ মিলি সিরাপের দাম ৯২ টাকা।