ব্রি ধান ১০০ চাষ পদ্ধতি ও এর বৈশিষ্ট্য
বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট কৃতক ২০২০ সালে বোরো মৌসুমের জন্য উদ্ভাবিত একটি জাত ব্রি ধান ১০০। এর জীবনকাল ১৪৮ দিন। এর ফলন ৭.৭ টন - ৮.৮ টন (হেক্টর প্রতি) পর্যন্ত ফলন দিতে সক্ষম।
ব্রি ধান ১০০ চাষ পদ্ধতি
- বীজতলায় বীজবপন: ০১ - ১৫ অগ্রাহায়ণ পর্যন্ত (১৫ই নভেম্বর - ৩০ই নভেম্বর)।
- চারার বয়স: ৩৫ - ৪০ দিন।
- রোপণ দুরত্ব: ২০ × ১৫ সে.মি.।
- চারার সংখ্যা: গোছা প্রতি ২ - ৩টি।
- সার প্রয়োগ (প্রতি বিঘা): ইউরিয়া- ৩৫ কেজি, টিএসপি- ১৩ কেজি, এমওপি- ১৬ কেজি, জিপসাম- ১৫ কেজি ও জিংক- ১ কেজি।
- জমি প্রস্তুত করার সর্বশেষ পর্যায়ে অর্ধেক এমওপি, সবটুকু জিপসাম, টিএসপি ও জিংক সালফেট একসাথে প্রয়োগ করতে হবে।
- ইউরিয়া সার সমান তিন ভাগে বাগ করে ৩ কিস্তিতে দিতে হবে যথা- ১ম কিস্তি রোপনের ১০-১৫ দিন পর, ২য় কিস্তি রোপনের ২৫-৩০ দিন পর এবং ৩য় কিস্তি রোপনের ৪০-৪৫ দিন পর।
- বাকী অর্ধেক এমওপি সার ইউরিয়ার দ্বিতীয় কিস্তির সাথে একশাথে দিতে হবে।
- আগাছা দমন: রোপনের ৩০ - ৪০ দিন।
- রোগবালাই বা পোকামাকড় দমন: উচ্চফলনশীল এ জাতের রোগবালাই বা পোকামাকড়ের আক্রমণ কম হয়। তবে, রোগবালাই বা পোকামাকড়ের হানা বা আক্রমণ দেখা যায় তাহলে সাথে সাথে বালাইনাশক প্রয়োগ বা ব্যবহার করা উচিৎ।
- সেচ ব্যবস্থাপনা: ধানের দানায় দুধ আসা পর্যন্ত জমিতে পরিমান মত পানি বা রস থাকা জরুলি।
- ফসল পাকা: শীষের ৮০% ধান পরিপক্ক এবং ২০% ধান অর্ধ-পরিপক্ক এবং অর্ধ-স্বচ্ছ হলেই ধান পেকে গেছে মনে করা হয় এবং দেরি না করে সাথে সাথে কেটে ফেলা উচিত।
- ফসল কাটা: ৩০ চৈত্র থেকে ১৫ বৈশাখ (১৩ই এপ্রিল - ২৮ই এপ্রিল) পর্যন্ত।
ব্রি ধান ১০০ এর বৈশিষ্ট্য
- এই জাতের পূর্ণ বয়স্ক ধান গাছ গড়ে লাম্বা হয় ১০০ - ১০১ সে.মি.।
- প্রসার বা বড় হওয়ায় সময় এই গাছের আকার-আকৃতি অনেকটা ব্রি ধান ৭৪ এর মতোই হয়।
- গাছের ডিগ পাতা লম্বা, খাড়া ও প্রশস্থ হয় এবং পতার কালার সবুজ।
- পাকা ধানের কালার খড়ের মত দেখতে হয়।
- ১ হাজার টি পরিপুষ্ট ধানের গড় ওজন ১৬.৭ গ্রাম।
- চালে ২৫.৭ মিলিগ্রাম (প্রতি কেজিতে) জিংকের পরিমান রয়েছে।
- চালের দানায় প্রোটিনের পরিমান ৭.৮ শতাংশ এবং অ্যামাইলোজের পরিমান ২৬.৮শতাংশ।
- চালের গঠন মাঝারি চিকন, রং সাদা এবং ঝরঝরে ভাত হয়।
- ব্রি ধান ৮৪ এর থেকে প্রায় ১৯ শতাংশ বেশি ফলন হয়।
ফলন দেওয়া নাই মানুষ চেহারা দেখে ধান লাগাবে
আর্টিক্যালের উপরে [প্রথম প্যারা] পড়ুন ফলনের পরিমাণ হেক্টর হিসাবে দেয়া আছে।