ভারতের উচ্চ ফলনশীল ধানের বীজের নাম
ভারতের মোট ২৯ প্রজাতির উচ্চ ফলনশীল ধানের বীজের অনুমোদন রয়েছে বাংলাদেশে। অনুমোদিত সকল প্রজাতির ধানের বীজ বাজারে পাওয়া যাবে। তবে কিছু প্রজাতির ধান দেশের সর্বত্র চাষের অনুমোদন নেই। নিচের তালিকায় পূর্ণাঙ্গ তথ্য তুলে ধরা হয়েছে।
ক্রম. | ভারতের উচ্চ ফলনশীল ধানের বীজের নাম | আমদানীকারক/ উৎপাদক/ বাজারজাতকারী প্রতিষ্ঠান | অনুমোদিত অঞ্চল |
১. | আলোক-৬২০১ | এ সি আই লিমিটেড | সকল অঞ্চল |
২. | লোকনাথ-৫০৫ | ম্যাকডোনাল্ড প্রাঃ লিঃ | সকল অঞ্চল |
৩. | অমরশ্রি-১ | গ্যাঞ্জেস পেভোঃ কর্পোঃ | সকল অঞ্চল |
৪. | IAHS- ১০০-০০১ | আফতাব বহুমুখী ফার্ম লিঃ | সকল অঞ্চল, সুগন্ধি জাত হিসাবে |
৫. | আলোক-৯৩০২৪ | এ সি আই লিমিটেড | রাজশাহী ও কুমিল্লা |
৬. | অ্যারাইজ তেজ | বায়ার ক্রপ সায়েন্স লিঃ | ময়মনসিংহ, রংপুর, যশোর ও রাজশাহী |
৭. | অ্যারাইজ ধানী (এইচ-০৭০০২) | বায়ার ক্রপ সায়েন্স লিঃ | ময়মনসিংহ, কুমিল্লা, রংপুর, চট্টগ্রাম ও রাজশাহী |
৮. | গোল্ডেন-১ | আলফা সীড ইন্টারন্যশঃ | ময়মনসিংহ, কুমিল্লা ও যশোর |
৯. | রাডার (NK 5017) | সিনজেন্টা বাংলাদেশ লিঃ | ময়মনসিংহ ও চট্রগ্রাম |
১০. | সাফল্য-১ (JKRH-401) | মেটাল এগ্রো লিমিটেড | ময়মনসিংহ ও চট্রগ্রাম |
১১. | অ্যারাইজ ধানী গোল্ড (বায়ার হাইব্রিড-৪) | বায়ার ক্রপ সাইন্স | ময়মনসিংহ, যশোর ও রাজশাহী |
১২. | বায়ার হাইব্রিড-৪ (অ্যারাইজ ধানী গোল্ড) | বায়ার ক্রপ সাইন্স (বোরো/আমন) | ময়মনসিংহ, চট্রগ্রাম, যশোর ও রাজশাহী |
১৩. | পেট্রোকেম হাইব্রিড এগ্রো ধান-১৬ (পাইওনিয়ার২৫পি৩৫) আমন | পেট্রোকেম বাংলাদেশ লিঃ | ময়মনসিংহ, যশোর ও রাজশাহী |
১৪. | বায়ার হাইব্রিড ধান-৫ H11001 (অ্যারাইজ তেজ গোল্ড) আমন | বায়ার ক্রপ সাইন্স | ময়মনসিংহ, চট্রগ্রাম ও রাজশাহী |
১৫. | বায়ার হাইব্রিড ধান-৫ H11001 (অ্যারাইজ তেজ গোল্ড) বোরো | বায়ার ক্রপ সাইন্স | ঢাকা, ময়মনসিংহ, চট্রগ্রাম, রাজশাহী ও যশোর |
১৬. | সিনজেনটা হাইব্রিড ধান-৪ (এস১২০২) | সিনজেনটা বাংলাদেশ লিঃ | ঢাকা ও চট্রগ্রাম |
১৭. | সিনজেনটা হাইব্রিড ধান-৫ (এস১২০৩) | সিনজেনটা বাংলাদেশ লিঃ | খুলনা ও চট্রগ্রাম |
১৮. | বায়ার হাইব্রিড ধান-৬ | বায়ার ক্রপ সায়েন্স লিমিটেড | রাজশাহী ও চট্রগ্রাম |
১৯. | সুপ্রিম হাইব্রিড ধান-১১ (হীরা-১৯) | সুপ্রিম সীড কোম্পানী লিঃ | রাজশাহী ও খুলনা |
২০. | মিতালী হাইব্রিড ধান-৩ (SAVA4613) | মিতালী এন্টারপ্রাইজ | সারাদেশে চাষাবাদের জন্য (বোরো) |
২১. | মিতালী হাইব্রিড ধান-৪ (SAVA134) | মিতালী এন্টারপ্রাইজ | সারাদেশে চাষাবাদের জন্য (বোরো) |
২২. | সিনজেন্টা হাইব্রিড ধান ৬ (Syngenta S-1204) | সিনজেন্টা বাংলাদেশ লি: | সারাদেশে চাষাবাদের জন্য (বোরো) |
২৩. | সিনজেন্টা হাইব্রিড ধান ৭ (Syngenta S-1205) | সিনজেন্টা বাংলাদেশ লি: | সারাদেশে চাষাবাদের জন্য (বোরো) |
২৪. | পেট্রোকেম হাইব্রিড ধান-৪ (Pioneer 27P22) | পেট্রোকেম এগ্রো ইন্ডাষ্ট্রিজ লিমিটেড | সারাদেশে চাষাবাদের জন্য (বোরো) |
২৫. | সুপ্রিম হাইব্রিড ধান-১১ (হাইব্রিড হীরা ১৯-PAN-809) | সুপ্রিম সীড কোম্পানী লিমিটেড | সারাদেশে চাষাবাদের জন্য (বোরো) |
২৬. | ভশিন এগ্রো হাইব্রিড ধান-১ (LG 92.01) | ভশিন এগ্রো কোম্পানী লিমিটেড | সারাদেশে চাষাবাদের জন্য (বোরো) |
২৭. | ভশিন এগ্রো হাইব্রিড ধান-২ (LG 93.01) | ভশিন এগ্রো কোম্পানী লিমিটেড | খুলনা ও রংপুর (বোরো) |
২৮. | মাহিকো হাইব্রিড ধান-১ | মাহিকো বাংলাদেশ (প্রা:) লি: | খুলনা ও রংপুর (বোরো) |
২৯. | ব্রাক হাইব্রিড ধান-১৪ (RXML-22) | ব্রাক সীড আ্যন্ড আ্যগ্রো এন্টারপ্রাইজ | খুলনা ও রংপুর (বোরো) |
তবে ভারতের গুটি স্বর্ণার দাপট বাংলাদেশের যশোর, মাগুরা, ঝিনাইদহ, কুষ্টিয়া, চুয়াডাঙ্গা ও মেহেরপুর জেলায় অনেক বেশি। বিগত ১০ বছরের অধিক সময় যাবৎ এই জেলাগুলোতে ভারতের গুটি স্বর্ণা বেশি চাষ হচ্ছে। তবে এই প্রজাতির ধান ভারত থেকে আমদানি নিষিদ্ধ হওয়ায় চোরাই পথে বাংলাদেশে এসে থাকে। ভারত থেকে আনার পরে বিঘা প্রতি ২৭/ ২৮ মণ পর্যন্ত ধান উৎপাদন হয়ে থাকে, কিন্তু কৃষকরা বারবার নিজেরাই বীজ বানানোর ফলে এই উৎপাদন অনেক কমে ১২ থেকে ১৫ মণে ঠেকেছে। কৃষকদের দাবি এই প্রজাতির ধান আমদানি করা হলে অনেক ভাল হবে। তবে বাংলাদেশ সরকারের নীতি হলো: মুক্ত পরাগায়ন (ওপি) জাতের ধানবীজ আমদানি করা যাবে না। গুটি স্বর্ণা মুক্ত পরাগায়ন জাতের হওয়ায় আমদানি করা হয়না।
এক্ষেত্রে সমাধানস্বরূপ কৃষি কর্মকর্তারা কৃষকদের বিকল্প ধান হিসেব উফশী জাতের ব্রি-৭৫, ৫৯ ও বিনা-৭ ধান লাগাতে পরামর্শ দিয়ে থাকেন।