খালি পেটে নিম পাতার রস খেলে কি হয়? বিস্তারিত পড়ুন...

খালি পেটে নিম পাতার রস খেলে শরীরের রক্তে থাকা ক্ষতিকর উপাদানগুলো ধ্বংস হয়, দেহের ক্ষতিকর টক্সিক উপাদান বেরিয়ে যায় এবং সার্বিকভাব দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ও কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি পায়।

নিম পাতা

অনেক আয়ুর্বেদ বিশেষজ্ঞের মতে একটানা দীর্ঘদিন খালিপেটে নিমপাতার রস খাওয়া ঠিক নয়। প্রাথমিকভাবে উপকার হতে থাকে, তবে একসময় নিম পাতার কিছু উপাদানের কারণে দীর্ঘদিন রস সেবনে ক্ষতির সম্ভাবনা দেখা দেয়। এজন্য নিম পাতার রস কিভাবে খাবেন এ বিষয়ে সুস্পষ্ট ধারণা থাকা প্রয়োজন।

খালি পেটে খাওয়ার নিয়ম

  • প্রতিদিন ১/২টি নিম পাতার রস খালি পেটে খাবেন। এভাবে দীর্ঘদিন খেলেও কোনো বিরুপ পার্শপ্রতিক্রিয়া হবার সম্ভাবনা নেই। তাছাড়া খালি পেটে অল্প পরিমাণে রস খেলে তা ভরা পেটে ফুল গ্লাস খাবার ন্যায় কাজ করে থাকে।
  • দ্রুত উপকৃত হওয়ার জন্য খালি পেটে এক গ্লাস পরিমাণে নিম পাতার রস খেতে চান অনেকেইএবং একটানা খেতে পারবেন কিনা জানতে চান। এক্ষেত্রে আয়ুর্বেদ বিশেষজ্ঞরা পরামর্শ দিয়ে থাকেন, সর্বোচ্চ এক সপ্তাহ খালি পেটে এক গ্লাস পরিমাণে একজন পূর্ণবয়স্ক লোক খেতে পারেন। এক সাপ্তাহের বেশি সময় একটানা খালি পেটে খাওয়া মোটেও উচিত নয়। ভাল হয় যদি ১ দিন পরপর সেবন করে। তাছাড়া লক্ষ্য রাখতে হবে, কোনো পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া দেখা দেয় কিনা। অনেক রোগির ক্ষেত্রে দেখা যায় মুখে ব্রণের পরিমাণ অনেক বেড়ে যায়, আবার অনেকের ক্ষেত্রে এলার্জির সমস্যা বেড়ে যায়। যদি এমন কোনো কিছু আপনার ক্ষেত্রেও দেখা দেয় তবে অবশ্যই খাওয়া বন্ধ করতে হবে অথবা কম পরিমাণে খেতে হবে।
  • আপনি যদি কোনো বিশেষ রোগ বা সমস্যার জন্য নিম পাতার রস খেতে আগ্রহী হন, তবে অবশ্যই একজন আয়ুর্বেদ বিশেষজ্ঞের পরামর্শে সেবন শুরু করতে হবে। কারণ অনেক রোগির ক্ষেত্রে নিম পাতার রস সেবনে অনেক বেশি পার্শ্বপতিক্রিয়া দেখা দেয়।
এবার চলুন জেনে নেয়া যাক খালি পেটে নিম পাতার রস খেলে কি কি উপকার হয়ে থাকে।

খালি পেটে খাওয়ার উপকারিতা:

  • নিম পাতায় রয়েছে অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল, অ্যান্টিভাইরাল এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট প্রপাটিজ যা শরীরে প্রবেশ করলে ইমিউনিটি বাড়ে। এর ফলে ছোট খাটো রোগবালাই সহজেই আক্রমণ করতে পারেনা।
  • প্রতিদিন খাবার ও অন্য অনেক উপায়ে আমাদের শরীরে ক্ষতিকর টক্সিন প্রবেশ করে থাকে, তাই নিয়মিত এই টক্সিন শরীর থেকে বের করে দিতে আমাদের শরীরের প্রতিরক্ষা ব্যাবস্থা কাজ করে থাকে। যদি কেউ নিয়মিত নিমপাতার রস সেবন করে, তাহলে এই ক্ষতিকর টক্সিন অনেক দ্রুত ও সহজেই শরীর থেকে বেরিয়ে যেতে বাধ্য হয়।
  • আমাদের পাকস্থলিতে থাকা ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া এবং ক্রিমি মারা যায় নিয়মিত নিম পাতার রস খেলে।
  • পেটের গেসটিক সমস্যা দূর করতে অনেক ভাল কাজ করে থাকে।
  • রক্তে থাকা ক্ষতিকর উপাদান দুর করতে কাজ করে থাকে।
  • ত্বকের বাহিক উচ্জ্বলতা ধীরে ধীরে বৃদ্ধি পেতে থাকে নিম পাতার রস সেবনে।
Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url