কেউ জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানালে তাকে কি বলতে হয়?

কেউ জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানালে তাকে কি বলতে হয়

আজ আমরা জানবো, কেউ জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানালে তাকে কি বলতে হয়? জন্ম দিনের শুভেচ্ছা আপনি বিভিন্নভাবে পেতে পারেন তাই নিচে আলাদা আলাদাভাবে বিশদ আলোচনা তুলে ধরা হয়েছে।

কেউ সামনা সামনি জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানালে তাকে কি বলতে হয়?

আত্মীয়-স্বজন/ যে কেউ: সামনা সামনি জন্মদিনের শুভেচ্ছা দেয়ার সময় বেশিরভাগ মানুষ কোনো কিছু উপহার দিয়ে থাকেন, যেমন ছোট বাচ্চাদের ক্ষেত্রে ফুলের তোরা বা কোনো খেলনা বা চকলেট ইত্যাদি। এক্ষেত্রে উপহারটি গ্রহণ করবেন তারপর Thank you বলবেন [ছোটরা]। তবে বড়দের ক্ষেত্রে আরো কিছু কুশল বিনিময় করতে পারেন যেমন: "আপনি এসেছেন, আমি অনেক খুশি হয়েছি। আশার পথে কোনো সমস্যা হয়নিতো? যাইহোক আসুন বসুন।" এরপর জন্মদিনের কেক কাটার সময় অতিথিদের পাশে নিয়ে কেক কাটবেন এবং সকলকে খেতে দেবেন।

প্রিয় মানুষ: আবার প্রিয় মানুষটি যদি জন্মদিনের শুভেচ্ছা দেয়, তবে ধন্যবাদ, অনেক ভাল লেগেছে তুমি আমার জন্মদিন মনে রেখেছো এজন্য।" এটা বলার পর একচিল্টি মুচকি হাঁসি দিবেন। ব্যাস, আর কিছু করতে হবেনা, মনে করুন এভারেস্ট জয় হয়ে গিয়েছে

বাবা মা: বাবা মা যদি আপনাকে সরাসরি জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানায় তবে তাদের সালাম করে ভালবাসা নিতে পারেন, বুকে টেনে নিতে পারেন। এক্ষেত্রে তেমন কিছু বলার নেই, কোননা বাবা মার ভালোবাসা কোনো বিশেষ কথায় নয় বরং ব্যাবহারে প্রকাশ করতে হয়। যেমনটি আপনি করেছেনে ছালাম দিয়ে। তাছাড়া ফোটবেলার বিশেষ কোনো জন্মদিনের স্মৃতি নিয়ে কথা বলতে পারেন, এতে বাবা মা অনেক বেশি আনন্দিত হবেন।

কেউ ফেসবুক বা হোয়াটস্যাপে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানালে তাকে কি বলতে হয়?

বর্তমানে ফ্রেন্ড সার্কেল ফেজবুকে শুভেচ্ছা দিয়ে থাকেন সবচেয়ে বেশি। এক্ষেত্রে আপনিও তাদের ধন্যবাদ বন্ধু/ বেস্টু ❤❤❤❤ বলতে পারেন। তবে কোনো বন্ধু যদি খুব সুন্দর করে কবিতা বা ছন্দ বানিয়ে আপনাকে শুভেচ্ছা দেয়, তাহলে অবশ্যই সেটার জন্য তাকে প্রসংশা করতে ভুলবেননা।

কেউ কার্ড বা চিঠির শুভেচ্ছা জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানালে তাকে কি বলতে হয়?

অন্য কারো মাধ্যমে যদি আপনার কাছে কার্ড বা চিঠি পাঠানো হয়, তবে আপনারো উচিত তাকে চিঠির উত্তর দেয়া। তবে যদি নিজ এলাকার বা স্কুল কলেজের কোনো ফ্রেন্ড অন্য কারো মাধ্যমে চিঠি দিয়ে থাকে তাহলে উত্তম হবে পরবর্তীতে যখন সামনা সামনি দেখা হবে তখন ধন্যবাদ জানানো। আর যদি এমন কেউ হয় যার সাথে সহজে দেখা হবেনা, তাকে চিঠির মাধ্যমেই উত্তর দিতে পারেন। এক্ষেত্রে নিচে দেয়া কয়েকটি চিঠির নমুনা দেয়া হলো, এগুলো ফলো করে আপনিও আপনার মনের ভাব লিখে জানাতে পারবেন।

শুভেচ্ছা বার্তার নমুনা:

১// আমি খুবি আনন্দিত, কারণ তুমি আমার জন্মদিন মনে রেখেছো এবং শুভেচ্ছা পাঠিয়েছো। তোমার জন্য আমার অনেক অনেক শুভকামনা। তুমি সব সময় সুস্থ এবং সুখি থাকো এবং এবারের ন্যায় প্রতিবার আমাকে স্বরণ করো। আমি প্রতি বছর অপেক্ষা করবো তোমার কাছ থেকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা পাবার জন্য এবং এই দিনগুলি স্বরণীয় করে রাখবো।তোমার প্রতি অনেক ভালোবাসা রইলো।

২// তোমার শুভেচ্ছা বার্তা পড়তে আমার অনেক ভালো লাগে, তাই প্রতি বছরেই তোমার থেকে শুভেচ্ছা বার্তা পাবার অপেক্ষা করে থাকি। তোমাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ এবং কৃতজ্ঞতা জানাই আমাকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা প্রদান করার জন্য।

৩// "থ্যাংক ইউ সো মাচ” আপনার দেয়া জন্মদিনের শুভেচ্ছার জন্য। আমি খুবি খুশি হয়েছি আপনার থেকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা পেয়ে। আপনার পাঠানো শুভেচ্ছা উপহার আমার অনেক ভালো লেগেছে, এটা অনেক সুন্দর। জন্মদিনের দিন এমন স্পেশাল কিছু পেয়ে আমি অনেক আনন্দিত হয়েছি। আপনার এই শুভেচ্ছার কারণে আমার এই দিনটি স্মরণীয় হয়ে থাকবে। ভালো থাকবেন আর আমার জন্য দুয়া করবেন।

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url