নরেন্দ্র মোদির পুরো নাম কি?
নরেন্দ্র মোদি
ভারতের প্রধানমন্ত্রীর পুরো নাম কি?নরেন্দ্র মোদির পুরো নাম কি?
নরেন্দ্র মোদীির পুরো নাম হল নরেন্দ্র দামোদরদাস মোদি। তিনি ১৯৫০ সালের ১৭ই সেপ্টেম্বর বম্বে প্রেসিডেন্সির (গুজরাত) মহেসানা জেলার বড়নগর নামক স্থানে ঘাঞ্চী তেলী সম্প্রদায়ের এক নিম্নবর্গের পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন।
নরেন্দ্র মোদির বাড়ি কোথায়:
বম্বে প্রেসিডেন্সির (বর্তমান গুজরাট রাজ্য) মহেসানা জেলার বড়নগরে নরেন্দ্র মোদির জন্ম হয়।
- পিতামাতার ৬ সন্তানের মধ্যে তিনি ছিলেন ৩য়।
- নরেন্দ্র মোদির পিতা "দামোদরদাস মুলচাঁদ মোদী" এবং মাতা "হীরাবেন মোদী"।
- তিনি তার বাবাকে বড়নগর রেলস্টেশনে চা বিক্রি করতে সাহায্য করতেন এবং কিশোর বয়সে তার ভাইয়ের সাথে বাসস্ট্যান্ডের কাছে চা বিক্রি করতেন। পুরো পরিবার একটি ছোট ৪০ ফুট x ১২ ফুট একতলা বাড়িতে থাকতেন। তিনি একজন সাধারণ ছাত্র হিসাবে এই শহরে তার স্কুল শিক্ষা সম্পন্ন করেন।
নরেন্দ্র মোদি ভারতের কততম প্রধানমন্ত্রী:
নরেন্দ্র মোদি ভারতের পঞ্চদশ প্রধানমন্ত্রী।
- তিনি ২৬ মে ২০১৪-এ ভারতের পনেরতম প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন।
- এর আগে নরেন্দ্র মোদি গুজরাতের চতুর্দশ মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন।
- মোদি হিন্দুত্ববাদী সংগঠন রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের সদস্য তবে, মিডিয়া ও বুদ্ধিজীবীদের মতো তিনি নিজেকে হিন্দু জাতীয়তাবাদী বলে দাবি করেন।
২০০২ সালের গুজরাট দাঙ্গার জন্য তার প্রশাসন ভারতে এবং বিদেশে সমালোচিত হয়েছিল। তবে গুজরাটে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির বৃদ্ধির জন্য একটি সক্ষম পরিবেশ তৈরি করার জন্য তার আর্থিক নীতিগুলির জন্য তিনি প্রশংসিত হয়েছেন। অন্যদিকে, তিনি তার রাজ্যে মানব উন্নয়নে গঠনমূলক প্রভাব ফেলতে তার প্রশাসনের অক্ষমতার জন্যও সমালোচিত হয়েছেন।
নরেন্দ্র মোদির স্ত্রীর নাম কি?
নরেন্দ্র মোদির স্ত্রীর নাম: যশোদাবেন নরেন্দ্রভাই মোদি।
- যশোদাবেন নরেন্দ্রভাই মোদির জন্ম ১৯৫২ সালে।
- ঐতিহ্য অনুযায়ী তারা শিশু থাকা অবস্থায় দুই পরিবারের আয়োজনে তাদের বিয়ে অনুষ্ঠিত হয় ১৯৬৮ সালে।
- বিয়ের সময় নরেন্দ্র মোদির ১৮ বছর বয়স ছিলো এবং তার স্ত্রী যশোদাবেনের ১৬ বছর বয়স ছিলো।
- বিয়ের কিছুদিন পরে সন্যাসব্রত পালনের উদ্দেশ্যে গৃহত্যাগ করেন তিন বছরের জন্য (যশোদাবেনকে ছেড়ে )।
- পরবর্তী জীবনে মোদি যশোদাবেনকে স্ত্রী হিসেবে গ্রহণ করেননি।
- ২০১৪ সালে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নির্বাচনে অংশগ্রহণের জন্য প্রচারণা প্রাক্কালে আনুষ্ঠানিক ভাবে মোদি তার বিয়ের কথা স্বীকার করেন (প্রথম বারের মতো)।
- যশোদাবেন নিজের পরিচয় মোদীর স্ত্রী হিসেবেই দিয়ে থাকেন।
- যশোদাবেন বিয়ের পরেও তার পড়াশোনা চালিয়ে যান এবং শিক্ষাজীবন শেষ করে পরবর্তীতে শিক্ষকতাকে পেশা হিসেবে বেছে নেন।