শেখ রাসেল রচনা ৩০০ শব্দ
অনেক গুরুত্বপূর্ণ শেখ রাসেল রচনা ৩০০ শব্দ নিচে দেয়া হয়েছে। এখানে ০৭টি প্যারাতে ভাগ করা হয়েছে।
ভুমিকা : বাংলাদেশের অবিসংবাদিত নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কনিষ্ঠ পুত্র এবং বর্তমান প্রধান মন্ত্রী, জননেত্রী শেখ হাসিনার আদরের ছোট ভাই হলেন শেখ রাসেল।এক প্রাণবন্ত, দুরন্ত শিশু শেখ রাসেল দেশের জন্য ঘাতকদের হাতে প্রাণ দিলেন, যা বিশ্বের ইতিহাসে বিরল ঘটনা।
জন্ম : বঙ্গবন্ধুর সর্বকনিষ্ঠ পুত্র (শেখ রাসেল) জন্মগ্রহণ করে ধানমন্ডির ৩২ নাম্বার বাড়িতে, সেই দিনটি ছিল ১৯৬৪ সালের ১৮ অক্টোবর। বড় বোন শেখ হাসিনার শোবার ঘরে শেখ রাসেলের জন্ম হয়েছিল। সেদিন বঙ্গবন্ধুর পরিবারসহ সমগ্র দেশ আনন্দের জোয়ারে মেতে উঠেছিল।
নামকরণ : বঙ্গবন্ধুর ছোট ছেলের নামকরণ করা হয়েছে নোবেল জয়ী বার্ট্রান্ড রাসেলের নামানুসারে। এই ব্যাপারে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ‘আমাদের ছোট রাসেল সোনা’ বইয়ে বলেছেন, ‘আব্বা বার্ট্রান্ড রাসেলের খুব ভক্ত ছিলেন, রাসেলের বই পড়ে মাকে ব্যাখ্যা করে শোনাতেন। মা রাসেলের ফিলোসফি শুনে শুনে এত ভক্ত হয়ে যান যে নিজের ছোট সন্তানের নাম রাসেল রাখলেন।’
ছেলেবেলা : শেখ রাসেল ছিলেন পরিবারের সবার অতি আদরের। বঙ্গবন্ধু জীবনের বেশিরভাগ সময় জেলে যেতে হয়েছে। এই জন্য রাসেল বাবার কাছে বেশি থাকতে পারেন নি। বাবা যখন রাষ্ট্রপতি, তখন রাষ্ট্রপতির ছেলে হয়েও সাইকেল চালিয়ে স্কুলে যেতেন। বাড়ির কাজের মানুষদের সাথে ভালো আচরণ করতেন। গ্রামের বাড়িতে বেড়াতে যাওয়ার সময় গ্রামের বন্ধুদের জন্য উপহার নিয়ে যেতেন। সহপাঠীদের সাথে ভালো ব্যবহার করতেন।
হত্যাকাণ্ড : ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট এর সেই অভিশপ্ত রাতে বিপথগামী সেনা কর্মকর্তা বঙ্গবন্ধুর ধানমন্ডির ৩২ নম্বর বাস ভবনে ট্যাংক দিয়ে ঘিরে বঙ্গবন্ধুকে স্বপরিবারে হত্যা করে। সেই দিনই রাসেলকেও হত্যা করে হত্যাকারীরা।
শেখ রাসেল দিবস পালন করার কারণ : প্রতিবছর ১৮ অক্টোবর বাংলাদেশে শেখ রাসেল দিবস হিসেবে পালন করা হয়। শেখ রাসেল দিবস পালনের কারণ হলো প্রতিটি শিশুর নিকট শেখ রাসেলের শৈশব তুলে ধরে শিশুদের দেশপ্রেমিক, অসাম্প্রদায়িক, প্রগতিশীল, সোনার মানুষ গড়ে তোলা।
উপসংহার : বাংলাদেশের ইতিহাসে এক স্মরণীয় নাম হলো শেখ রাসেলে। শেখ রাসেলের মাঝে বেঁচে আছে আপামর বাঙালির শৈশব। তাঁর নির্মম মৃত্যুর ঘটনা বাঙালি জাতির জন্য হৃদয়বিদারক ঘটনা। তাঁর স্মৃতিকে চিরদিন বাচিয়ে রাখার উদ্দেশ্যেই তাঁর নামে রাজধানী ঢাকায় তৈরি করা হয়েছে একটি স্কেটিং স্টেডিয়াম এবং গঠন করা হয়েছে শেখ রাসেল ক্রীড়া চক্র, শেখ রাসেল শিশু-কিশোর পরিষদ ।