জীবনে বড় হতে হলে কি করতে হবে? কিভাবে করতে হবে?

জীবনে বড় হতে হলে কি করতে হবে

জীবনে বড় হতে হলে আমাদের কিছু মূল বিষয়ে মনোনিবেশ করতে হবে। এই প্রবন্ধে আমরা সেই বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করব, যা জীবনে বড় হতে হলে করণীয়।

জীবনে বড় হতে হলে কি করতে হবে ?

  • লক্ষ্য নির্ধারণ: প্রথমে আমাদের একটি স্পষ্ট লক্ষ্য নির্ধারণ করতে হবে। লক্ষ্য হলো আমাদের জীবনের দিকনির্দেশনা। এটি আমাদের জীবনের পথ চিহ্নিত করে।
  • শিক্ষা ও জ্ঞান: জ্ঞান এবং শিক্ষা হলো সফলতার মূল সহায়ক। এটি আমাদের বুদ্ধিমত্তা বাড়ায় এবং আমাদের জীবনের বিভিন্ন পরিপ্রেক্ষিতে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে সহায়তা করে।
  • সততা ও পরিশ্রম: সততা এবং পরিশ্রম হলো সফলতার অপরিহার্য উপাদান। এটি আমাদের লক্ষ্যে পৌঁছাতে সহায়তা করে।
  • সময় ব্যবস্থাপনা: সময় ব্যবস্থাপনা হলো একটি গুরুত্বপূর্ণ দক্ষতা যা আমাদের সময় কার্যকরভাবে ব্যবহার করতে সহায়তা করে।
  • স্ব-বিশ্বাস: স্ব-বিশ্বাস হলো সফলতার অন্যতম উপাদান। এটি আমাদের নিজেদের ক্ষমতা বিশ্বাস করতে সহায়তা করে।

সম্পূর্ণ জীবন একটি শিক্ষা প্রক্রিয়া। আমাদের সফল হতে হলে আমাদের এই উপাদানগুলি অনুসরণ করতে হবে। এই উপাদানগুলি আমাদের জীবনে বড় হতে সহায়তা করবে।

সফল ব্যাক্তির জীবণী থেকে শিক্ষা

সফল ব্যাক্তিদের উন্থান-পতনের ঘটনা থেকে খুব সহজেই শিক্ষা ও উপদেশ গ্রহণ করা যায়।

এমন অনেক ব্যক্তি রয়েছে যারা বিপরীত পরিস্থিতিতেও সফল হয়েছেন এবং তাদের গল্প অনেকেই জানেনা। একজন এমন ব্যক্তি হলেন স্টিভ জবস, যিনি বিশ্বের অন্যতম বৃহত্তম প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান ‘অ্যাপল’ প্রতিষ্ঠার জন্য খ্যাত। তার প্রথম প্রতিষ্ঠান ‘ট্র্যাফ-ও-ডেটা’ ব্যবসায়িক সফলতার মুখ দেখতে পারেনি। এটি তার জীবনের সব থেকে বড় ব্যর্থতা। তবে স্টিভ জবস থেমে যাননি, এবার তিনি প্রতিষ্ঠা করলেন নতুন কম্পিউটার প্রোগ্রামিং প্রতিষ্ঠান ‘নেক্সট’। অন্যদিকে বাজার হারাতে শুরু করেছিল অ্যাপল। ফলে বাধ্য হয়েই স্টিভ জবসকে আবারো ফিরিয়ে নিয়ে যায় প্রতিষ্ঠানটি। সেই সাথে কিনে নেয় জবসের ‘নেক্সট’ কোম্পানিটি। এবার স্টিভ জবস ফিরলেন সিইও হয়। এই ঘটনাটি অনেকের কাছে অজানা হতে পারে।

এমন অনেক ব্যক্তি রয়েছে যারা প্রতন্ত্র এলাকা থেকে উঠে এসে বিশ্বের সেরা হয়েছেন। একজন এমন ব্যক্তি হলেন জেফ বেজস, যিনি আমাজন ডট কম প্রতিষ্ঠার জন্য খ্যাত। তিনি কম্পিউটার বিজ্ঞানে ডিগ্রি নেওয়ার পরে ওয়াল স্ট্রিটের অনেকগুলো ফার্মে কাজ করেছিলেন। এর সুবাদে ১৯৯০ সালে তিনি সবচেয়ে কম বয়সে কোন প্রতিষ্ঠানের সভাপতি নির্বাচিত হন। সেসময়ে আর্কষণীয় বেতন, চাকুরীর স্থায়িত্ব, পদমর্যাদা সহ সবকিছু তার কাছে ছিলো। কিন্তু তিনি চাকুরী ছেড়ে দিয়ে নতুন একটি পরিকল্পনা হাতে নিলেন। তিনি নিজের ব্যবসা শুরু করতে চাইলেন। এই ঘটনাটি অনেকের কাছে অজানা হতে পারে।

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url