বিভিন্ন রোগের এবং সমস্যার প্রাথমিক চিকিৎসা

জ্বর হলে কি করবেন

  • প্রথম চারদিন প্যারাসিটামল দিয়ে জ্বর কমাতে হবে। ৬ ঘন্টা পর পর ৫০০ মি.গ্রা. একটা করে ট্যাবলেট দিতে হবে। ১০২ এর নীচে না নামলে আরো একটা দিতে হবে। পানি পান করলে, গ্যা মুছলে এবং মাথায় পানি দিলে জ্বর কমে আসবে। জ্বর ১০০ তে থাকলেই চলবে। ৯৯ করার দরকার নাই ।
  • পানি প্রচুর (৩+ লিটার) পান করতে হবে। বিশ্রাম নিতে হবে। খাওয়া দাওয়া ঠিক রাখার চেষ্টা করতে হবে; তেমন একটা খাবার না থেতে পারলে ফলমূল জুস করে খাওয়ালে শরীরে  ক্যালরীর চাহিদা মিটবে।
  • ৪ দিনের বেশী হলে + অন্য উপসর্গ থাকলে ডাক্তার দেখাতে হবে।
  • ভাইরাল ফিভার ৭ দিনের বেশী থাকেনা ।

মাথা ব্যাথা

  • অন্য উপসর্গ যেমন জ্বর, গা ম্যাজম্যাজ কাশি থাকলে প্যারাসিটামল, এ্যান্টিহিস্টামিন।
  • মাইগ্রেন: এক পেশে ব্যাথা, বমি বমি ভাব, দৃষ্টিভ্রম হলে অথবা ব্যাথার পূর্বাভাস (aura) সেটা ক্লাসিকাল মাইগ্রেন। মানুষ অসুস্থ হয়ে পরে। কাজ কর্ম বন্ধ করে থাকে, ঘর অন্ধ করে। মাইগ্রেন মেয়েদের রোগ (১৫-৫৬ বছর)। প্যারাসিটামলের সাথে অন্য ঔষধ লাগে । মাইগ্রেন একটানা থাকেনা; ২/৩ দিন থাকে, মাসে ২/৩ বার হয়।
  • টেনশন হেডেক: একই রকম একটানা কয়েকদিন, অনেকদিন থাকে । সূর্য গড়ায় ব্যাথা বাড়ে; প্যারাসিটামলে যায় না । দি
  • বেকায়দা শুয়ে বা বসে থাকা, তাকিয়ে থাকার ব্যাথা প্যারাসিটামলে যায়।

মাথা ঘোরা

  • ব্যলান্সের অসুবিধা হলে মাথা ঘুরে শোয়া থেকে উঠলে, শুতে গেলে, বিছানায় এপাশ ওপাশ করলে ঘুরে; পজিশনাল ভার্টিগো । এটা খারাপ কিছুনা (বিনাইন)। নাক বন্ধ থাকলে হয়, বংশে হয়; বারংবার হয়। সিনারাজিন জাতীয় ঔষধে তিনচার দিনে সারে।
  • মাথাঘোরা সাথে অন্য উপসর্গ থাকলে সেটা পরিক্ষা নীরিক্ষার দরকার পড়ে।

খিঁচুনি

  • বয়স্ক : জ্ঞান হারালে, পরে গেলে, জিহবা কাটলে সন্দেহ করতে হবে
  • বাচ্চা: ক্ষনিকের জন্য স্থবির হয়ে আবার ঠিক হয়ে যায়,মাঝে মাঝে হয় । সতর্কতা-একা আগুনের কাছে, পানিতে, ব্যস্ত রাস্তায় যাবেনা।

গিরায় ব্যাথা

  • গিরায় ব্যাথা: গাউট: বয়স্ক মহিলা, পুরুষদের পায়ের বুড়াআংগুলে গিরা ফুললে সেটা গাউটি আর্থাইটিস । অনেক গিরা (পা, হাত; ছোট, বড়) ফুললে, ব্যাথাবেশী এবং বেশীদিন থাকলে সকালে দেড় ঘন্টার বেশী জ্যাম থাকলে ইনফ্লামেটরী আর্থাইটিস। এসব ব্যাথা সর্বাধিক ডোজে এনএসআইড ও অন্যান্য ঔষধ লাগবে।
  • গিরা ফোলা নাই কিন্তু ব্যাথা বয়সের অসুখ, প্যারাসিটামলে কমে। এডজাস্ট করে চলতে শিখতে হবে।
  • নখের কোনা ফোলা (কেনি উঠা) ও ব্যাথা থাকলে প্যারেনকিয়া, ফাংগাল ইনফেকশন; ডায়াবেটিস পরীক্ষা করতে হব।।

সাপের কামড়

  • সাপে কামড় দিলে : কামড়ের জায়গাকে রেস্টে রাখতে হব। রশি, ফিতা নয় Splint লাগাতে হবে (দুপাশে পাত লাগিয়ে ফিতা দিয়ে পেঁচাতে হবে। দ্রুত সম্ভব হাসপাতালে নিয়ে এ্যান্টিভেনম দেবার ব্যবস্থাই আসল চিকিৎসা ।
Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url
Advertisement