মুসা বিন শমসের কত টাকার মালিক ? [আপডেট তথ্য..]
বাংলাদেশের অন্যতম আলোচিত একজন ব্যাক্তি ছিলেন মুসা বিন শমসের। তিনি নিজের টাকায় পদ্মা সেতু তৈরি করে দেওয়ার ইচ্ছা পোষণ করার পরেই মূলত সকলের কাছে পরিচিত হয়ে ওঠেন। এরপর মিডিয়া এবং সোশিয়াল মিডিয়ার মধ্য দিয়ে রাতারাতি বাংলাদেশ তথা বিশ্বের অন্যতম একজন ধনী হিসেবে আখ্যাযিত হন। এসময় দুদক তার নিকট মোট সম্পদের হিসাব বিবরণ পেশ করতে আদেশ জারী করে। তারপর মুসা বিন শমসের নিজের সকল সম্পদের বিবরণ দুদকের কাছে জমা দেয়। তার উল্লেথিত সম্পদের পরিমাণ নিম্নরূপ:
- সুইচ ব্যাংকে জমা আছে ১২ বিলিয়ন ডলার।
- প্রায় ৯০ মিলিয়ন ডলারের সমমূল্যের অলংকার জমা আছে সুইচ ব্যাংকের ভল্টে।
- গাজীপুরে ১২০০ বিঘা জমি আছে।
- গুলসান ও বনানীতে আছে ২টি বাড়ি।
- মেসার্স ড্যাটকো লিমিটেড, বনানী এর চেয়ারম্যান তিনি (এটি একটি জনশক্তি রপ্তানি প্রতিষ্ঠান)।
মুসা বিন শমসের কত টাকার মালিক ?
উত্তর: মুসা বিন শমসের যে তথ্য দিয়েছেন সে হিসাব অনুযায়ী বর্তমান বাজার দরে প্রতি ডলারের বিপরীতে ১০৮ টাকা ধরে ১২ বিলিয়ন ডলার সমান ১ লক্ষ ২৯ হাজার ৬০০ কোটি টাকা হয় এবং অলংকার বাবদ ৯০ মিলিয়নের দাম হয় ৯৬৯ কোটি টাকা। প্রতি বিঘার দাম ১কোটি ধরলে ১২০০ কোটি টাকা হয়। সব মিলিয়ে মুসা বিন শমসের ১ লক্ষ ৩১ হাজার ৭৭০ কোটি টাকার মালিক।
এতো সম্পদ কিভাবে অর্জন করেছেন?
মুসা বিন শমসেরের নিজের দেয়া তথ্য অনুযায়ী তিনি স্বাধীনতা পরবর্তী দীর্ঘ ৪২ বছর ধরে বিদেশে অস্ত্র ব্যাবসা এবং ক্রুড ওয়েলের ব্যাবসা করে এই সম্পদ অর্জন করেছেন। বাংলাদেশ থেকে অর্জিত কোনো অর্থ তিনি সুইচ ব্যাংকে জমা রাখেননি। তিনি আরো জানান সুইচ ব্যাংকের যে একাউন্টে তার অর্থ জমা আছে তা অংশিদার ভিত্তিক এক্যাউন্ট। অন্য অংশিদারদের কি পরিমাণ অর্থ জমা আছে তা তিনি প্রকাশ করতে পারবেননা। শুধু নিজের অংশের অর্থের কথা বলেছেন।
দুদকের তদন্তে মুসা বিন শমসের এর সম্পদের পরিমাণ:
দুদকের কাছে মসা বিন শমসেরের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে বাংলাদেশ ব্যাংক সুইচ ব্যাংক কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করে যে তথ্য জানতে পারে তা খুবি হাস্যকর এবং দুখঃজনকও বটে। জানা যায় সুইচ ব্যাংকে তার নামে কোনো প্রকার অর্থ বা অলংকার নেই। মুসা বিন শমসের যে তথ্য দিয়েছেন তা সম্পূর্ণ মিথ্যে এবং কথার বুলি।
এ বিষয়ে ২০২১ সালে বিভিন্ন পত্র পত্রিকায় নিউজ হয় এবং তদন্তের মাধ্যমে পুলিশের পক্ষ থেকে তার মোট সম্পদ বলতে যা আছে তার হিসাব প্রকাশ করা হয়। সে হিসাব অনুযায়ী মুসা বিন শমসেরের মোট সম্পদ বলতে পৈত্রিক ভিটা এবং বিভিন্নভাবে মানুষকে ধোঁকা ও প্রতারণার মাধ্যমে অর্জিত সম্পদের খোঁজ পাওয়া যায়।