শীতের সকাল অনুচ্ছেদ (২টি)
শীতের সকাল নিয়ে নিচে দুইটি অনুচ্ছেদ দেয়া হয়েছে। ১ম অনুচ্ছেদটি ৬ষ্ঠ , ৭ম, ৮ম এবং নবম+দশম শ্রেণীর শিক্ষার্থীদের জন্য এবং ২য় অনুচ্ছেদটি প্রাথমিক পর্যায়ের ২য় থেকে ৫ম শ্রেণীর শিক্ষার্থীদের জন্য দেয়া হয়েছে।
শীতের সকাল অনুচ্ছেদ
আমাদের এই দেশ ষড়ঋতুর দেশ। ছয় ঋতুর মধ্যে অন্যতম হলো শীতকাল। এই সময়ের সকালকে শীতের সকাল বলা হয়।অনেক দেশে আবার বরফের সকালও বলা হয়। শীতের সকালের সূর্য খুব দেরি করে ওঠে। আর চারো দিকে কুয়াশা ঢাকা থাকে। একটু দূরে কিছু দেখলে ঝাপসা মনে হয়। এই সময় সকালে ঘাসের উপর শিশির পরে। আর চারো পাশটা দেখতে মনোরম লাগে। শীতের সকাল খুব ঠান্ডা হয়। তাই গায়ে গরম কাপড় নিতে হয়। বয়স্ক ও শিশুরা গাছের পাতা, খড়কুটো সংগ্রহ করে আগুন জ্বালিয়ে গরম তাপ নেয়। গরম তাপ নেওয়ার আরেকটা পদ্ধতি হলো রোদে শুয়ে থাকা। শীতের সকালে দূর্দান্ত খাবার হয়। যেমন পিঠা, পায়েস, খেজুরে রস, রুটি ইত্যাদি। এই সময়ে বি করে খেজুরের রস পাওযা যায়্। শহরের আর গ্রামের মানুষের কাছে খুব আলাদা হয়। গ্রামের মানুষ অনেক আনন্দ করে দিনগুলো কাটায়্। ধনীরা অনেক আনন্দে কাটালেও গরিব ও পথ শিশুদের অনেক কষ্ট হয়। কারণ তাদের ভালো শীতের পোশাক থাকেনা। তাই শীতকাল কারো কাছে সুখের আবার কারো কাছে অনেক কষ্টের।
শীতের সকাল অনুচ্ছেদ ২য় শ্রেণী
শীতের সকালে ঘুম থেকে উঠতে ইচ্ছে হয়না। কারণ শীতের সকালে সূর্য মামাও দেরিতে উঠে। তবে আমার কাছে শীতের সকাল অনেক পছন্দ। কারণ শীতের সকালে চিতই পিঠা খাওয়া হয়। সকাল ভোরে উঠে খেজুরের রস খাই। তারপর উঠোনে খড়কুটো পুড়িয়ে আগুনের তাপ নিই। বাহিরে অনেক কুয়াশার কারণে অন্ধকার দেখায়। তাই ঘড়ে বসে বই পড়ি। পরিবারের অন্যদের সাথে লুডু খেলি। এরপর স্কুলে যাই। এভাবেই আমার প্রতি দিনের শীতের সকাল কাটে।