হারাম খাবারের কোড তালিকা | হারাম খাবারের তালিকা

হারাম খাবারের কোড তালিকা

হারাম খাবারের কোড তালিকা:

  • E111, E120, E140, E141, E161b, E161g,
  • E161i, E161j, E252, E428, E430, E431,
  • E441, E485, E542, E630, E631, E632,
  • E633, E634, E635, E640, E904, E920,
  • E921, E951, E999, E1105, E1203, E1209,
  • E1510, E1519
বিবরণ ও সোর্স: উপরে উল্লেখিত হারাম খাবারের কোডগুলো জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা এবং বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা কর্তৃক গঠিত কোডেক্স এলিমেন্টারিয়াস কমিশন কর্তৃক নির্ধারিত খাদ্য কোডের তালিকা হতে বাছাই করে নেয়া হয়েছে। খাদ্য কোড রয়েছে এমন খাবারের সংখ্যা ৫০০ এর বেশি। যার মধ্যে বেশির ভাগ খাবার হালাল।
তবে কোড প্রাপ্ত খাবারগুলোর মধ্যে কোনটি হারাম তা নির্ধারণ করে বিভিন্ন সময় আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত ইসলামিক বেশ কিছু প্রতিষ্ঠান সময়ে সময়ে প্রকাশ করে থাকে।

হারাম খাবারের কোড নির্ধারণকারী প্রতিষ্ঠানগুলো হলো:

  • Sauth African national halal authority (SANHA),
  • Halal foundation Pakistan,
  • International halal certification (IHC) Pakistan

এছাড়াও আরো বেশ কিছু প্রতিষ্ঠানের প্রকাশিত তথ্যের আলোকে উপরে হারাম খাবারের তালিকা দেয়া হয়েছে।

কোড দেখে কিভাবে বুঝবো হারাম কিনা?

বাজারে অনেক প্রডাক্ট পাবেন যেগুলোতে কোড দেওয়া থাকে। এসকল খাবারের কোড দেখে মিলিয়ে নিতে হবে। যদি কোড মিলে যায়, তাহলে বুঝতে হবে এটি হারাম খাবার।

এই কোডভুক্ত খাবারগুলো কেন হারাম?

উপরে উল্লেখিত কোডভুক্ত খাবারগুলো তৈরিতে এমন কোনো উপাদান ব্যাবহৃত হয় যেটা ইসলামে হারাম। আমরা জানি যে খাবার মুসলমানদের জন্য হারাম, সে খাবারের কোনো উপাদান দিয়ে তৈরি করা খাবারগুলোও হারাম হবে। তাই বিশ্লেষকরা হারাম উপাদানে তৈরি খাবারগুলো চিহ্নিত করে হারাম খাবারের কোড তালিকা দিয়ে থাকে।

হারাম খাবারের তালিকা:

  1. দাঁত বিশিষ্ট হিংস্র জন্তুর মাংস। যেমন:
    • বাঘ
    • সিংহ
    • হাতি
    • শিয়াল
    • কুমির
    • বানর
    • সজারু
    • বিড়াল
    • শুকর
    • নেকড়ে
    • কচ্ছপ
    • কুমির ইত্যাদি।
  2. পানজা বা পায়ের নখ দিয়ে স্বীকার করে এমন পাখির মাংস। যেমন:
    • ঈগল
    • পেঁচা
    • সেন
    • বাজপাখি ইত্যাদি।
  3. নোংরা পোকামাকড় বা নাপাক জায়গায় বসবাসকারী পোকামাকড় খাওয়া হারাম। যেমন:
    • তেলাপোকা
  4. যেসব পোকামাকড় বা প্রাণী হত্যা করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে অথবা হত্যা করতে নিষেধ করা হয়েছে এমন উভয় পশু পাখি খাওয়া হারাম। যেমন:
    • সাপ
    • ইঁদুর
    • টিকটিকি
    • চিল
    • কাক
    • বিচ্ছু ইত্যাদি
  5. নিষিদ্ধ প্রাণীগুলোর মধ্যে রয়েছে হুদহুদ, পিঁপড়া, দোয়েল পাখি, ব্যাঙ, মৌমাছি ইত্যাদি।
  6. গৃহ পালিত গাধার মাংস খাওয়া হারাম।
  7. শূকরের মাংস খাওয়া হারাম
  8. মাছ এবং পঙ্গপাল ব্যতীত সকল মৃত পশু পাখির মাংশ হারাম।
  9. জবাই করা পশু পাখির প্রবাহিত রক্ত।
  10. যে সকল প্রাণী সব সময় নোংরা ও নাপাক জায়গায় অবস্থান করে অথবা যে সকল প্রাণীর খাবার তালিকার অধিকাংশই অপবিত্র সেসকল প্রাণী হারাম।
  11. আল্লাহর নাম ব্যতীত জবাই করলে হালাল প্রাণীর মাংশোও হারাম হবে।
  12. শরীয়তের নির্ধারিত বা নির্দিষ্ট নিয়ম অনুযায়ী জবাই না করলে জবাইকৃত প্রাণীর মাংস হারাম হবে।
  13. যে সকল প্রাণীর অধিকাংশ খাবার হারাম সে সকল প্রাণীর মাংস, দুধ, ডিম সবকিছুই হারাম হবে।
  14. যে সকল খাবার বা পানীয় নেশা তৈরি করে তা খাওয়া বা পান করা হারাম হবে। যেমন:
    • মদ
    • বিষ
    • সিগারেট
    • ইয়াবা
    • শ্যাম্পেইন
    • হিরোইন
    • গাঁজা
    • আফিম
    • বিয়ার ইত্যাদি।
আল্লাহ তাআলা আমাদের জন্য যে সকল খাবার ভালো সেগুলোকে হালাল করেছেন এবং যে খাবারগুলো মানব দেহের জন্য অস্বাস্থ্যকর এবং ক্ষতিকর সেগুলোকেই হারাম হিসেবে নির্ধারণ করেছেন তাই আমাদের উচিত সুস্বাস্থ্য বজায় রাখবার জন্য এবং শরীয়তের বিধান মেনে চলার জন্য হারাম খাবার বর্জন করা।

হারাম খাবার কখন খাওয়া যাবে?

যদিও হারাম খাবার খাওয়া থেকে বিরত থাকা খুবই জরুরী, তবে বিশেষ ক্ষেত্রে হারাম খাবার খাওয়া জায়েজ আছে যদি এমন হয় ভক্ষণ করবার জন্য বা ক্ষুধা নিবারণের জন্য এমন কোন হালাল খাবার মজুদ নেই অথবা সংগ্রহ করা সম্ভব হচ্ছে না, এমন অবস্থায় জীবন বাঁচানোর স্বার্থে হারাম খাবার খাওয়া যাবে। তবে হালাল খাবার যদি হাতে এসে যায় অথবা সংগ্রহ করা সম্ভব হয় সেই মুহূর্ত থেকেই হারাম খাবার বর্জন করতে হবে। পবিত্র কোরআন শরীফের সূরা আল বাকারার ১৭৩ নং আয়াতে এ বিষয়ে বলা আছে।
Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url
Advertisement