সিপ্রোসিন ৫০০ কেন খাওয়া হয়? এর কাজ কি? দাম কত?
সিপ্রোসিন ৫০০ মি.গ্রা. স্কয়ার কম্পানি কর্তৃক বাজারজাতকৃত ট্যাবলেট যা সিন্থেটিক ফ্লুরোকুইনলোন অ্যান্টিবায়োটিক। কেবলমাত্র রেজিস্ট্রেড চিকিৎসকের পরামর্শে সিপ্রোসিন ৫০০ সেবন করা যাবে। এটি বিভিন্ন রোগের সংক্রমণ প্রতিরোধে রোগিদের দেয়া হয়ে থাকে।
- সিপ্রোসিন ৫০০ কেন খাওয়া হয়?
- সিপ্রোসিন ৫০০ এর কাজ কি?
- খাওয়ার নিয়ম কি?
- এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া কি কি?
সিপ্রোসিন ৫০০ কেন খাওয়া হয়?
মূত্রনালীর সংক্রমণ, শ্বাসনালির সংক্রমণ, ইন্ট্রা-এবডমিনাল সংক্রমণ, ত্বক, কোমল টিস্যু, অস্থি ও অস্থিসন্ধির সংক্রমণ, ডায়রিয়া, টাইফয়েড জ্বর, গনোরিয়াসহ আরো বেশ কিছু সংক্রমণ প্রতিরোধের জন্য সিপ্রোসিন ৫০০ খাওয়া হয়।
সিপ্রোসিন ৫০০ এর কাজ কি?
এটি কোনো একটি নির্দিষ্ট রোগের চিকিৎসায় ব্যাবহৃত হয়না, বরং রোগের লক্ষণ ও তিব্রতার উপর ভিত্তি করে একজন রেজিস্ট্রেড ডাক্তার প্রেস্কিপ্ট করে থাকেন।
সিপ্রোসিন ৫০০ এর কাজ
- সিপ্রোসিন ৫০০ ট্যাবলেট ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণজনিত বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধে কাজ করে থাকে।
- ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণে মূত্রনালীর বিভিন্ন সমস্যা দুর করতে কাজ করে।
- শ্বাসনালির সংক্রমণ প্রতিরোধে কাজ করে।
- ইন্ট্রা-এবডমিনাল সংক্রমণ প্রতিরোধে কাজ করে।
- শরীরের উপরিভাগ তথা ত্বকে ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ প্রতিরোধে কাজ করে।
- দেহের বিভিন্ন কোমল টিসুর ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণজনিত রোগ প্রতিরোধ করে।
- অস্থি ও অস্থিসন্ধির সংক্রমণ রোধ করে।
- সংক্রমিত ডায়রিয়া যেমন: ভিবরিও কলেরা, শিগেল্লা ডিসেন্ট্রির চিকিৎসায় কাজ করে।
- টাইফয়েড জ্বরের চিকিৎসায় কাজ করে।
- গনোরিয়ার চিকিৎসায় কাজ করে।
- পেলভিক ইনফ্লামেটরি ডিজজ এর চিকিৎসায় ব্যাবহৃত হয়
- নিউট্রোপেনিক রোগীদের ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ জনিত জ্বর প্রতিরোধ করে
- মেনিনজাইটিস এর চিকিতসায় ব্যাবহৃত হয়।
সিপ্রোসিন ৫০০ এর দাম কত?
- সিপ্রোসিন ৫০০ এর খুচরা মূল্য ১৬ টাকা (১টি ট্যাবলেট)
- ১ পাতা (১০টি ট্যাবলেট) সিপ্রোসিন ৫০০ এর দাম ১৫০ টাকা এবং
- এক প্যাকেট (৩০টি ট্যাবলেট) এর দাম ৪৫২ টাকা।
সিপ্রোসিন ৫০০ খাওয়ার নিয়ম
রোগীর শারীরিক অবস্থা, রোগ ও রোগের তিব্রতার উপর ভিত্তি করে ৩ দিন, ৭ দিন অথবা ১৪ দিন মেয়াদে একজন ডাক্তার প্রেসক্রিপশন করে থাকেন। মনে রাখবেন এটি একটি এন্টিবায়োটিক ঔষধ। নিজে থেকে ডোজ নির্ধারণ করা থেকে বিরত থাকবেন।
সিপ্রোসিন ৫০০ এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া
সিপ্রোসিন ৫০০ সেবনের পর বেশ কিছু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দিতে পারে। যেমন:
- মাথাব্যথা
- শুকনা কাশি
- বমি বমি ভাব বা বমি
- সর্দি লাগা ও নাক বন্ধ হওয়া
- ডায়রিয়া
- অবসাদ, ক্লান্তবোধ করা এবং দুর্বলতা
- ক্ষুধাহীনতা
- চামড়াতে ফুসকুড়ি
- ঝিমুনি,
- আলোতে অসস্থি লাগা
- পেটে ব্যথা,
- আর্থ্রালজিয়া
- মায়ালজিয়া
- মুখে অরুচি লাগা ইত্যাদি।
এছাড়াও অন্য কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দিতে পারে। গুরুতর কোনো লক্ষণ দেখা দিলে অবশ্যই রেজিস্ট্রেড ডাক্তারের পরামর্শ নিবেন।
অনেক অনেক ধন্যবাদ জারা এই ঔসদ টির বিস্তারিত ইউটিউবে দিছেন তাদেরকে