তৃতীয় মেঘনা সেতু
তৃতীয় মেঘনা সেতু: ভুলতা-আড়াইহাজার-বাঞ্ছারামপুর সড়কের ফেরিঘাটের ১০০ মিটার উজানে (স্রোতের বিপরীতে) নির্মিত হবে তৃতীয় মেঘনা সেতু। এর মাধ্যমে নারায়ণগঞ্জ ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার মধ্যে সরাসরি সড়ক যোগাযোগ স্থাপন হবে এবং সেতুটি ঢাকা-চট্টগ্রাম ও ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের বিকল্প অ্যালাইনমেন্ট হিসেবে কাজ করবে।
একনজরে তৃতীয় মেঘনা সেতু:
মেঘনা নদীর উপর আরও দুইটি সেতু নির্মিত হয়েছে ইতোমধ্যে। সড়ক যোগাযোগ ব্যাবস্থা আরো উন্নত করার লক্ষ্যে আরো একটি সেতু নির্মাণের সিদ্ধান্ত নেন সরকার ২০২০ সালে এবং ২০২৩ এর মে মাসে সেতু নির্মাণে বিনিয়োগকারী প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে কনসেশন চুক্তি স্বাক্ষর হয়েছে। নিচে ৩য় মেঘনা সেতু এর সংক্ষিপ্ত বিবরণ তুলে ধরা হলো:
ক্রম. | একনজরে | দাউদকান্দি ব্রিজ এর বিবরণ |
১. | দৈর্ঘ | : ৩.১৩ কিলোমিটার |
৫. | লেন | : ২ লেন [ দুই দিকে ২ লেন করে মোট ৪ লেন] |
৬. | সেতুর ধরণ | : সড়ক সেতু |
৭. | নির্মাণ শুরু | : নির্মাণ পরিকল্পনার আওতাধীন |
১১. | স্থায়ীত্বকাল | : ১০০ বছর |
তৃতীয় মেঘনা সেতু এর বিবরণ:
তৃতীয় মেঘনা সেতু নির্মাণের মধ্য দিয়ে ঢাকা ও এর পার্শ্ববর্তী জেলাগুলোর যোগাযোগ আরও সহজ হবে, বিশেষ করে নারায়ণগঞ্জ ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার মধ্যে সরাসরি যোগাযোগ ব্যাবস্থা সৃষ্টি হবে। বাংলাদেশ সরকার সেতুর প্রকল্প বাস্তবায়ন করার জন্য চুক্তিবদ্ধ হয়েছেন দক্ষিণ কোরিয়ার নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠান ‘দাইয়ু ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড কনস্ট্রাকশন লিমিটেড’, ‘হুন্ডাই ইঞ্জিনিয়ারিং’ এবং ‘কোরিয়ান এক্সপ্রেসওয়ে করপোরেশন’ এর সাথে [পিপিপি-জিটুজি ভিত্তিতে]। সেতুটির উভয় পাশের সংযোগ সড়ক নির্মাণ করবেন সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর (সওজ)।
এই সেতুটির দৈর্ঘ্য হবে ৩.১৩ কিলোমিটার। সেতুটির দুইদিকে ৪.৪ কিলোমিটার সংযোগ সড়ক নির্মাণ করা হবে। বিভিন্ন নৌযান চলাচলের জন্য সেতুর নিচে ক্লিয়ারেন্স ১৮ দশমিক ৩০ মিটার রাখার পরিকল্পনা করা হয়েছে।
এছাড়াও সেতুকে কেন্দ্র করে কড়াইকান্দি এলাকায় স্থলবন্দর নির্মাণ করার জন্য চিন্তাভাবনা চলমান রয়েছে। ঢাকা থেকে আশুগঞ্জ হয়ে স্থলবন্দরে যেতে যে সময় লাগে তার চেয়ে অনেক কম সময় লাগবে যদি কড়াইকান্দি এলাকায় স্থলবন্দর নির্মাণ করা যায়। গবেষকদের মতে কমপক্ষে চার ঘন্টা সময় কম লাগবে, এতে স্থানীয়ভাবে ব্যাবসায় গতি আসবে এবং সহজ হবে প্রত্যন্ত এলাকা থেকে শহরাঞ্চলে পণ্য সরবরাহ করা।