আবুল ফজলের লেখা গ্রন্থের নাম ও তার জীবণী

সত্যি কথা বলতে আমরা অনেকেই এখনো জানি না যে, আবুল ফজল কে? আর যারা জানেন না এই সাহিত্যিক এর সম্পর্কে এবং যারা জানতে আগ্রহী আবুল ফজলের সম্পর্কে তাদের জন্য আজকের এই লেখাটি। আবুল ফজলের সম্পর্কে জানতে হলে পুরো লেখাটি মনোযোগ দিয়ে পড়ুন।
আবুল ফজল
চিত্র: আবুল ফজল

আবুল ফজলের জন্ম পরিচয়:

আবুল ফজল চট্টগ্রাম জেলার সাতকানিয়া উপজেলার কেঁওচিয়া গ্রামে ১ জুলাই ১৯০৩ সালে জন্ম গ্রহণ করেন। তার বাবার নাম ছিল মৌলবি ফজলুর রহমান মায়ের নাম গুলশান আরা। তার বাবা ছিলেন জুমা মসজিদের ইমাম। আবুল ফজল ছিলেন বাবা - মায়ের একমাত্র পুত্র সন্তান।

আবুল ফজলের শিক্ষা জীবন:

আবুল ফজলের লেখা পড়ার সূচনা হয় গ্রামের প্রাইমারি স্কুলে। কিন্তু গ্রামে থাকা অবস্থায় তার জীবনটা ছিল স্বাধীন। সে তার খেয়াল খুশি মতন চলা ফেরা করতো। একটু বড় হাতেই তিনি দুর গ্রামে চলে যেতেন যাত্রা কিংবা কবির গান শুনতে। চাঁদনী রাতে ছেলেরা যদি বদর দিত তাহলে কিছুতেই আবুল ফজল কে ঘরে রাখা যেতোনা। কিছু দিন গ্রামে লেখা পড়ার পরে বাবার সাথে চলে আসেন চট্টগ্রাম। এখানে মাদ্রাসায় ভর্তির সেশন শুরু হতে দেরি হবে তাই আবুল ফজলের বাবা তাকে নন্দন কাননে প্রাইমারি স্কুলে ভর্তি করান।এর পরে চট্টগ্রাম সরকারি মাদ্রাসায় ১৯১৩/১৯১৪ সালে দ্বিতীয় শ্রেণীতে ভর্তি করা হয় এবং এখান থেকেই তিনি ১৯২৩ সালে মেট্রিক পাস করেন। এরপর ভর্তি হন ইন্টারমিডিয়েটে। ১৯২৫ সালে আবুল ফজল ঢাকা ইসলামিক ইন্টারমিডিয়েট কলেজ থেকে পাস করেন। তারপর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯২৮ সালে তিনি বিএ পাস করেন এবং কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৪০ সালে এমএ পাস করেন।

আবুল ফজলের কর্ম জীবন:

আবুল ফজলের কর্ম জীবন শুরু হয় বাবার মতন ইমামতী দিয়ে। পরে কিছু দিন বিভিন্ন স্কুলে শিক্ষকতা করেছেন। এরপর পশ্চিমবঙ্গের কৃষ্ণনগর কলেজে ১৯৪১ সালে বাংলা লেকচারার হিসেবে যোগদান করেন। পশ্চিমবঙ্গ থেকে ১৯৪৩ সালে তাকে বদলি করা হয় চট্টগ্রাম। এরপর ১৯৬৫ সালে অধ্যাপক থেকে অবসর গ্রহণ করেন। দেশ স্বাধীনের পরে ১৯৭৩ সালে চট্টগ্রাম এর উপাচার্য হিসেবে যোগদান করেন এবং ১৯৭৫ সালে বাংলাদেশ সরকারের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য হিসাবে "সংস্কৃতি ও শিক্ষা মন্ত্রণালয়" কাজ করেন এবং ব্যাক্তিগত কারণ দেখিয়ে ১৯৭৭ সালে ২৩ জুন পদত্যাগ করেন। আবুল ফজল ১৯৮৩ সালে ৪ মে চট্টগ্রাম জেলায় শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন।

আবুল ফজলের গ্রন্থ সমূহ:

আবুল ফজলের লেখা অনেক গুলো গ্রন্থ রয়েছে। এছাড়াও আবুল ফজল অনেক গ্রন্থর জন্য আওয়ার্ড পেয়েছেন। আবুল ফজলের লেখা বিভিন্ন গ্রন্থ গুলো হলো,

আবুল ফজলের লেখা গ্রন্থের নাম নিচে দেয়া হয়েছে:

উপন্যাস:

  • জীবন পথের যাত্রী
  • প্রদীপ ও পতঙ্গ
  • রাঙ্গা প্রভাত
  • চৌচির
  • সাহসিকতা

প্রবন্ধগ্রন্থ:

  • মানবতন্ত্র
  • সমকালীন চিন্তা
  • শুভ বুদ্ধি (১৯৭৪)
  • সাহিত্য সংস্কৃতি ও জীবন
  • রবীন্দ্র প্রসঙ্গ
  • সমাজ সাহিত্য রাষ্ট্র

গল্পগ্রন্থ:

  • মাটির পৃথিবী
  • মৃতের আত্নহত্যা
  • আবুল ফজলের শ্রেষ্ঠ গল্পঃ

নাটক:

  • কায়দের আজম
  • প্রগতি
  • স্বয়ম্বরা
দিনলিপি: দুদিনের দিনলিপি
আত্মজীবনী: রেখা চিত্র
Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url