চিত্র: ইলন মাস্ক
বিশ্বের একটি সুপরিচিত নাম এবং সফল বিজনেসম্যান ইলন মাস্ক। ইলন মাস্ক শুধু সফল ব্যাক্তিত্তই না, বিশ্বের শীর্ষ ধনীর হিসেবেও তার নাম এসেছে বেশ কয়েকবার মাইক্রোসফটের মতো কম্পানির মালিকদের পিছে ফেলে। কঠোর পরিশ্রমের মধ্যদিয়ে তিনি নিজেকে ক্ষুদ্র থেকে বিশ্বের শীর্ষ ব্যাক্তিদের মধ্যে নিজেকে দাড় করিয়েছেন। একারণে বর্তমান তরুণ সমাজের মাঝে অনুপ্রেরণা জোগায় তার বিখ্যাত হয়ে ওঠার পিছের গল্প। এই পোস্টে তাই আজ আলোচনা করা হয়েছে ইলন মাস্কের জীবণ বিত্তান্ত।
ইলন মাস্ক কেন বিখ্যাত
সময়টা ছিল ১৯৮৪ সাল, মাত্র ১২ বছর বয়সে ইলন মাস্ক একটি ভিডিও গেমস আবিষ্কার করেন এবং ৫০০ ডলারের বিনিময়ে একটি কম্পানির কাছে বিক্রি করেন। ১৯ বছর বয়সে ১৯৯৫ সালে Zip2 নামক ওয়েব সফটওয়্যার কোম্পানি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন এবং মাত্র ৪ বছর পরে কম্পানিটি বিক্রি করে ২২ মিলিয়ন ডলার পেয়েছিলেন নিজের ৭% শেয়ারের অংশ হিসেবে।
মাস্ক তার ইমেইল পেমেন্ট প্রতিষ্ঠান এক্স.কম কে পেপালের সাথে একিভুত করেন এবং পেপালের পেপালের সবচেয়ে বেশি শেয়ার কিনে নেন এবং ২০০১ সালে পেপাল বিক্রি হয়ে গেলে নিজের শেয়ারের মূল্য পান ১৬৫ মিলিয়ন ডলার।
পরবর্তীতে ২০০২ সালে SpaceX প্রতিষ্ঠা করেন। এছাড়াও ইলেক্ট্রিক গাড়ির বাজারে ইলন মাস্ক প্রবেশ করার পর খুব দ্রুত জনপ্রিয় হয়ে ওঠেন এবং এখন পর্যন্ত তার কম্পানির টেসলা গাড়িগুলো জনপ্রিয়তার শীর্ষে রয়েছে। এর পাশাপাশি আরো বেশ কিছু কোম্পানির প্রতিষ্ঠাতা তিনি। যেমন: দি বোরিং কোম্পানি প্রতিষ্ঠাতা, নিউড়ালিং সহ-প্রতিষ্ঠাতা, ওপেনএআইয়ের সহ-প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান। এছাড়াও অনেক কোম্পানির প্রধান বিনিয়োগকারী আমেরিকান ধনকুপ ইলন মাস্ক।
সর্বশেষ টুইটার কিনে ইলন মাস্ক সারা বিশ্বের নিকট আলোচনায় আসেন এবং সবার কাছে পরিচিতি পান টুইটার বস হিসেবে। টুইটার কেনার পর শীর্ষ ধনীর লিস্ট থেকে তিনি ২য় অবস্থানে নেমে গেলেও হয়ে ওঠেন সবার নিকট বিখ্যাত।
জীবনে খুব কম পরিমাণেই হোছট খেয়েছেন ইলন মাস্ক এবং একের পর এক ব্যাবসা পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করে গিয়েছেন।
ইলন মাস্কের বংশ পরিচয়:
তিনি ১৯৭১ সালে ২৮ শে জুন দক্ষিণ আফ্রিকার প্রোটোরিয়ায় জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতার নাম "এরোল মাক্স" (আফ্রিকান) এবং মায়ের নাম "মায়ে মাক্স" (কানাডিয়ান)। ১৭ বছর বয়স পর্যন্ত তিনি আফ্রিকায় ছিলেন। এরপর তার পরিবার কানাডায় চলে আসলে তিনিও সাথে আসেন। ইলন মাস্কের পিতা দক্ষিণ আফ্রিকার একজন ইলেক্ট্রিক ইঞ্জিনিয়ার, নাবিক, পাইলট এবং সম্পত্তি বিকাশকারী ছিলেন। ইলন মাস্কের ছোট ভাইয়ের নাম "কিম্বল" এবং ছোট বোনের নাম "টসকা"। তার নানার নাম "জশুয়া হাল্ডম্যান", তিনি আমেরিকান বংশদ্ভূত কানাডিয়ান নাগরিক। তাঁর দাদি ব্রিটিশ এবং পেনসিলভেনিয়া ডাচ বংশদ্ভুত ছিলেন।
শিক্ষা জীবন:
ইলন মাস্কের শিক্ষা জীবন শুরু হয় প্রোটোরিয়ায় বয়েজ স্কুল থেকে। ১৯৯৭ সালে তিনি অর্থনীতিতে ব্যাচেলর ডিগ্রী অর্জন করেন। এরপর, ব্যাবসা ও পদার্থ বিজ্ঞান নিয়ে লেখা পড়া শুরু করেন পেনসেলভেনিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে। তারপর স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে জ্বালানি পদার্থ বিজ্ঞানে ডিগ্রী অর্জন করেন। পরে ১৯৮৯ সালে উচ্চ শিক্ষার জন্য কানাডায় যান এবং সেই বছর এই কানাডার নাগরিকত্ব লাভ করেন।