ডিপ্লোমা কী? - What is a Diploma?
১। কারিগরি বোর্ড: কারিগরি বোর্ডের অধীনে পরিচালিত ডিপ্লোমা কোর্সগুলো ৪ বছর মেয়াদি এবং আট সেমিষ্টার ভিত্তিক হয়ে থাকে। ভর্তি যোগ্যতা নূন্যতম জিপি.এ ২.৫০ পেয়ে এস.এস.সি পাশ হতে হবে।
২। বাংলাদেশ নার্সিং এন্ড মিডওয়াইফেরি কাউন্সিল: এর অধীনে ৩ বছর মেয়াদি ডিপ্লোমা ইন নার্সিং সাইন্স এন্ড মিডওয়াইফেরি এবং ডিপ্লোমা ইন মিডওয়াইফেরি কোর্স পরিচালিত হয়। ভর্তি যোগ্যতা নূন্যতম এইচ.এস.সি পাশ হতে হবে।
ডিপ্লোমা কোর্স করার লাভ
- প্রত্যেক শিক্ষার্থীর ইচ্ছা থাকে উচ্চ শিক্ষা অর্জন করে উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ গড়া। কিন্তু বাস্তবে পারিবারিকভাবে আর্থিক সাপোর্ট না থাকলে ইন্টার পাশ করে মেডিক্যাল কিংবা ইজ্ঞিনিয়ারিং ভর্তি যুদ্ধে অংশ নেয়া সম্ভব নয়। এক্ষেত্রে ডিপ্লোমা ইজ্ঞিনিয়ারিং হতে পারে আপনার সপ্ন পূরণের পথ।
- ডিপ্লোমা কোর্সগুলোর মধ্যে অনেকগুলো কোর্স রয়েছে যেমন- ইলেক্ট্রিক্যাল, মেকানিক্যাল, সিভিল, নার্সিং, এই কোর্সগুলোতে সরকারি চাকরির পরিমাণ অনেক বেশি থাকে। যারা ক্লাস বা একাডেমিক পড়ালেখা ঠিকভাবে করে থাকে তারা ডিপ্লোমা পাশ করার ১ থেকে ২ বছরের মধ্যেই সরকারি ২য় শ্রেণীর কর্মকর্তা (১০ম গ্রেড) হতে পারবেন সহজেই।
- সরকারি চাকরির ক্ষেতে ডিপ্লোমা ইজ্ঞিনিয়ারিং এর শিক্ষার্থীরা বি.এস.সি ইজ্ঞিনিয়ারদের পরের গ্রেডে নিয়োগ পেয়ে থাকেন, তাই একটু ভালভাবে পড়ালেখা করলে অল্প বয়সেই ভাল পজিশনে যাওয়া সম্ভব।
- বেসরকারি চাকরির ক্ষেত্রে বর্তমানে ডিপ্লোমা ইজ্ঞিনিয়ারদের অনেক ভাল পজিশনে যাওয়া সম্ভব। কেননা সার্টিফিকেট এর চেয়ে অভিজ্ঞতার মূল্য বেসরকারি চাকরিতে বেশি। মামা খালু না থাকলে অভিজ্ঞতার বিকল্প নেই। তাই ডিপ্লোমা পাশ করার পর নিজ ডিপার্টমেন্ট রেলাটেড যেকোনো চাকরিতে প্রবেশের ২/৩ বছরেই অনেক ভাল বেতনে, ভালো পজিশনে উঠা সম্ভব। আর চাকরির পাশাপাশি বি.এস.সি ইজ্ঞিনিয়ারিং পড়লেতো কথাই নেই, অভিজ্ঞতা + বি.এস.সি এর মাধ্যমে সহজেই ভাল বেতন ও পদবির চাকরি পাওয়া সম্ভব।
ডিপ্লোমা কমপ্লিট করার পর চাকরি পাওয়া যাবে কি?
৪ বছর মেয়াদি ডিপ্লোমা কমপ্লিট করার পর চাকরি পাওয়া যাবে, তবে কিছু ডিপার্টমেন্ট আছে যেগুলো থেকে পাশ করার পর চাকরি পাওয়া অনেকটা কষ্টকর হয়ে যায়। তাই জেনে বুঝে সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়ে ভাল মানের ডিপ্লোমা কোর্সে পড়লে সহজেই চাকরি পাওয়া যাবে। বেসরকারি চাকরির জন্য একাডেমিক ক্লাসের সময় ভালভাবে ব্যাবহারিক ক্লাসগুলো করে নিজেকে দক্ষ করে তুলতে হবে, কারণ বাস্তব কাজের দক্ষতা না থাকলে বেসরকারি সেক্টরে চাকরি পাবেননা। অন্যদিকে সরকারি চাকরি পাবার জন্য নিজ ডিপার্টমেন্ট রেলাটেড বইগুলো ভালভাবে আয়ত্ত করতে হবে, নতুবা পড়ালেখা শেষে সরকারি চাকরি প্রস্তুতি নিতে গেলে মাথায় আকাশ ভেঙে পড়বে।
ডিগ্রি ও ডিপ্লোমার মধ্যে পার্থক্য
- এইচ.এস.সি পাশের পর ডিগ্রী কোর্সে ভর্তি হতে হয় কিন্তু ডিপ্লোমা কোর্সে এস.এস.সি পাশের পর ভর্তি হওয়া যায় (ব্যাতীক্রম ডিপ্লোমা ইন নার্সিং/ মিডওয়াইফারি কোর্সে ভর্তি হতে এইচ.এস.সি পাশ করতে হয়)।
- সকল ডিগ্রি কোর্স ৩ বছর কিন্তু ডিপ্লোমা কোর্স ৪ বছরের হয়ে থাকে (ব্যাতীক্রম ডিপ্লোমা নার্সিং ৩ বছর)।
- ডিগ্রি কোর্স বছর ভিত্তিতে পাঠদান এবং পরীক্ষা হয় কিন্তু ডিপ্লোমাতে সেমিস্টার ভিত্তিতে ক্লাস এবং পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয় (মোট আট সেমিস্টার)
- ডিগ্রি কোর্স করে আত্মকর্মসংস্থান সৃষ্টির জ্ঞান বা সুযোগ সৃষ্টি হয়না অপরদিকে, ডিপ্লোমাধারীগণ সহজেই আত্মকর্মসংস্থান সৃষ্টি করতে পারে।
বাংলাদেশে ডিপ্লোমা কোর্স সমূহ
প্রশ্ন - FAQ
প্রশ্ন: ডিপ্লোমা করে বিএসসি করতে কত বছর লাগে?
উত্তর: ডিপ্লোমা করে ডুয়েট থেকে বিএসসি করতে ৩ বছর সময় লাগে। বেশ কিছু প্রাইভেট ভার্সিটি থেকে করতে ৩ বছর এবং কিছু ভার্সিটিতে ৪ বছর লাগে।
প্রশ্ন: ডিগ্রি কোর্স কত বছর?
উত্তর: ডিগ্রি কোর্স ৩ বছর।
প্রশ্ন: ডিপ্লোমা কি স্নাতক?
উত্তর: ডিপ্লোমা স্নাতক না।