BPSC - বিপিএসসি: নিয়োগ পরীক্ষা, বেতন, বোনাস, পদন্নতি ও অন্যান্য তথ্য।

BPSC BD = Bangladesh Public Service Commission, Bangladesh (বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশন)

BPSC (বিপিএসসি) একটি স্বায়ত্তশাসিত সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান যার কাজ সরকারি চাকরিতে নিয়োগ সংক্রান্ত দায়িত্ব পালন করা। নিয়োগ প্রদানের ক্ষেত্রে যোগ্য প্রার্থী বাছাই করণের জন্য ক্যাডার পরীক্ষা (BCS) এবং ননক্যাডার পরীক্ষা গ্রহণ, নিয়োগ প্রদান, নিয়োগকৃত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের পদোন্নতি বা বদলিকরণ, বেতন নির্ধারণ, অবসর-ভাতার অধিকারসহ আনুষঙ্গিক কাজ সম্পাদন করা এবং প্রজাতন্ত্রের কর্মের বা চাকরি ক্ষেত্রের শৃঙ্খলামূলক বিষয়াদি সম্পর্কে প্রয়োজনে রাষ্ট্রপতিকে (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে)পরামর্শ প্রদান করে থাকে বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশন।

এই নিবন্ধে BPSC (বিপিএসসি) কর্তৃক নিয়োগ নীতিমালা, বেতনভাতা এবং  নিয়োগ সম্পর্কিত যাবতীয় কার্যক্রম সম্পর্কে স্বপষ্ট তথ্য তুলে ধরা হয়েছে।

বিপিএসসি এর অধীনে ক্যাডার পদে নিয়োগের নীতিমালা

ক্যাডার পদে নিয়োগ বলতে বিপিএসসি এর অধীনে পরিচালিত বিসিএস (BCS) ক্যাডার পরীক্ষাকে বুঝায়।

বিসিএস পরীক্ষা পদ্ধতি

  • MCQ Type Preliminary Test: বিসিএস নিয়োগ বিজ্ঞপ্তির শূন্য পদের তুলনায় প্রার্থী সংখ্যা অনেক বেশি হলে ২ ঘণ্টাব্যাপি ২০০ নম্বরের MCQ Type প্রিলিমিনারি টেস্ট পরীক্ষা নেয়া হয়। ২০০ টি MCQ এর জন্য ২০০ মার্ক, এক্ষেত্রে প্রতিটি ভূল উত্তরের জন্য ০.৫০ নম্বর কাটা যাবে।
  • লিখিত পরীক্ষা: প্রিলিমিনারি পরীক্ষায় কৃতকার্য প্রার্থীগণকে ৯০০ নম্বরের লিখিত পরীক্ষায় অংশ নিতে হয়। লিখিত পরীক্ষায গড় পাশ মার্ক ৫০%। যে সকল প্রার্থী সাধারণ ও কারিগরি/পেশাগত উভয় ক্যাডারের পদের জন্য পছন্দক্রম দেবেন, তাদেরকে সাধারণ ক্যাডারের জন্য নির্ধারিত বিষয়ের ৯০০ নম্বরের অতিরিক্ত সংশ্লিষ্ট পদ বা সার্ভিসের জন্য প্রাসংগিক বিষয়ের ২০০ নম্বরের লিখিত পরীক্ষা দিতে হয়।
  • বিসিএস ভাইবা পরীক্ষা: বিসিএস-এর লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ প্রার্থীদের ২০০ নম্বরের মৌখিক পরীক্ষায় অংশগ্রহণ বাধ্যতামূলক। মৌখিক পরীক্ষায় পাশ নম্বর ৫০%।

বিসিএস (BCS) ক্যাডার কারা হবেন?

মৌখিক পরীক্ষায় যারা পাশ করবেন তাদের মধ্যে লিখিত পরীক্ষা এবং মৌখিক পরীক্ষার মোট নম্বর এবং প্রার্থীদের পছন্দক্রম অনুসারে সরাসরি ক্যাডার পদে নিয়োগের জন্য সুপারিশপ্রাপ্ত হবেন। ক্যাডার পদ সল্পতার কারণে যারা নিয়োগ পাবেননা তারা পরবর্তীতে BPSC কর্তৃক নন ক্যাডার পদে নিয়োগের জন্য অপেক্ষমান প্যানেল লিস্টে থাকবেন।

নন ক্যাডার পদ সমূহে নিয়োগের নীতিমালা

  • প্রথমত, BPSC BD কর্তৃক সুপারিশকৃত প্রার্থীগণ (বিসিএস ক্যাডার পরীক্ষায় যারা নন ক্যাডার পদের জন্য অপেক্ষমান) নন ক্যাডার পদের জন্য নির্বাচিত হবেন।
  • দ্বীতিয়ত ৯ম, ১০ম, ১১তম, ১২তম এবং ১৩তম গ্রেডে নন ক্যাডার নিয়োগের জন্য BPSC কর্তৃক নন ক্যাডার নিয়োগ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। নন ক্যাডার পরীক্ষায় উত্তীর্ণ প্রার্থীগণ সরাসরি নন ক্যাডার পদে নিয়োগের জন্য সুপারিশপ্রাপ্ত হন।

Bpsc নন ক্যাডার পরীক্ষা পদ্ধতি:

  • প্রিলিমিনারি পরীক্ষা ৯ম, ১০ম, ১১তম, ১২তম এবং ১৩তম গ্রেডে নন ক্যাডার নিয়োগ পরীক্ষায় প্রার্থী সংখ্যা ১০০০ জনের বেশি হলে প্রথমে ২০০ মার্কের MCQ type প্রিলিমিনারি পরীক্ষা হবে।
  • লিখিত পরীক্ষা: প্রিলিমিনারি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ প্রার্থীগণকে ২০০ মার্কের লিখিত পরীক্ষায় অংশ গ্রহণ করতে হবে। লিখিত পরীক্ষার পাশ নম্বর গড়ে ৪৫%
  • মৌখিক পরীক্ষা: লিখিত পরীক্ষায় পাশ করলে ১০০ নম্বরের মৌখিক পরীক্ষায় অংশ নিতে হয়।

এরপর লিখিত পরীক্ষা এবং ভাইবা পরীক্ষায় প্রাপ্ত নম্বরের ভিত্তিতে নন ক্যাডার পদে নিয়োগের জন্য সুপারিশ করে থাকে BPSC.

বিপিএসসি এর অধীনে নিয়োগপ্রাপ্তদের বেতন স্কেল

BPSC এর অধীনে ক্যাডার পদে গ্রেড ১ থেকে গ্রেড ৯ পর্যন্ত (প্রথম শ্রেণীর কর্মকর্তা), এরপর গ্রেড ১০ এ নিয়োগপ্রাপ্তগণ দ্বিতীয় শ্রেণীর কর্মকর্তা, গ্রেড ১১ থেকে ১৬ পর্যন্ত তৃতীয় শ্রেণী এবং ১৭ থেকে ২০ পর্যন্ত ব্যাক্তিগণ ৪র্থ শ্রেণীর কর্মচারী হিসেবে পরিগণীত হন। নিচে গ্রেড ১ থেকে গ্রেড ২০ পর্যন্ত বেতন স্কেল দেয়া হলো:

মূল বেতন:

গ্রেড
জাতীয় বেতন স্কেল ২০১৫ অনুযায়ী
মূল বেতনের সর্বনিম্ন ও সর্বোচ্চ সীমা
০১৭৮০০০ টাকা (নির্ধারিত)
০২৬৬,০০০ - ৭৬,৪৯০ টাকা
০৩৫৬,৫০০ - ৭৪,৪০০ টাকা
০৪৫০,০০০ - ৭৪,৪০০ টাকা
০৫৪৩,০০০ - ৬৯,৮৫০ টাকা
০৬৩৫,৫০০ - ৬৭,০১০ টাকা
০৭২৯,০০০ - ৬৩,৪১০ টাকা
০৮২৩,০০০ - ৫৫,৪৭০ টাকা
০৯২২,০০০ - ৫৩,০৬০ টাকা
১০১৬,০০০ - ৩৮,৬৪০ টাকা
১১১২,৫০০ - ৩০,২৩০ টাকা
১২১৩,০০০ - ২৭,৩০০ টাকা
১৩১১,০০০ - ২৬,৫৯০ টাকা
১৪১০,২০০ - ২৪,৬৮০ টাকা
১৫৯,৭০০ - ২৩,৪৯০ টাকা
১৬৯,৩০০ - ২২,৪৯০ টাকা
১৭৯,০০০ - ২১,৮০০ টাকা
১৮৮,৮০০ - ২১.৩১০ টাকা
১৯৮,৫০০ - ২০,৫৭০ টাকা
২০৮,২৫০ - ২০০১০ টাকা

বেতন বৃদ্ধির নিয়ম:

  • প্রতি বছররের ১ জুলাই কর্মচারীদের বেতন বৃদ্ধি পাবে।
  • নতুন যোগদানকৃত কোনো কর্মচারীর চাকরির বয়স কমপক্ষে ৬ মাস পূর্ণ না হলে বৃদ্ধি পাবেনা।

বিভিন্ন ভাতার বিবরণ:

  • চিকিৎসা ভাতা: সকল কর্মচারী মাসিক ১৫০০ টাকা পাবেন।
  • বাংলা নববর্ষভাতা: মূল বেতনের ২০% হারে সকল কর্মচারী পাবেন
  • বাড়িভাড়া ভাতা: চাকরির গ্রেড এবং চাকরির এলাকাভেদে মূল বেতনের ৩৫% থেকে ৬৫% পর্যন্ত পাবেন।
  • ভ্রমণভাতা: চাকরির স্থান পরিবর্তন বা বদলিজনিত কারণে প্রতি কিলোমিটারের জন্য ১০০ কেজি মালামাল প্রতি ২ টাকা হারে পাবেন।
  • উৎসব ভাতা: মুসলমানগণ দুই ঈদে মূল বেতনের সমপরিমাণ টাকা উৎসব ভাতা হিসাবে পাবেন। অন্যান্য ধর্মালম্বীগণ যে কোনো একটি বড় উৎসবে মূল বেতনের সমপরিমাণ ২ টি ভাতা পাবেন।
  • শিক্ষা সহায়ক ভাতা: সর্বোচ্চ ২ সন্তানের জন্য (৫০০×২=১০০০) ২১ বছর বয়স পর্যন্ত।
  • টিফিন ভাতা (মাসিক): ২০০ টাকা
  • কার্যভারভাতা (মাসিক): ১৫০০ টাকা
  • যাতায়াত ভাড়া (মাসিক): ৩০০ টাকা
  • পাহাড়িভাতা: পার্বত্য জেলা সমূহে পোস্টিং হলে মূল বেতনের ২০% পাবেন।
এছাড়াও অন্যান্য ভাতাসমূহ জাতীয় বেতন স্কেল-২০১৫ অনুযায়ী প্রাপ্য হবেন।

বিপিএসসির অধীনে চাকরিতে যোগদানের শর্তসমূহ:

বাংলাদেশ পাবলিক সার্ভিস কমিশন (BPSC) এর অধীনের সকল নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে সকল প্রার্থীদের ক্ষেত্রে নিম্নোক্ত শর্তসমূহ প্রযোজ্য হবে। কিছু ক্ষেত্রে কমিশনের বা সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় বা দপ্তরের আবশ্যিকতার উপর ভিত্তি করে শর্তসমূহ কম-বেশি হতে পারে

  • মৌখিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হবার পর প্রার্থীদের ২(দুই) বৎসর শিক্ষানবিস হিসেবে কাজ করতে হবে।
  • শিক্ষানবিসকালে যদি কোনো প্রার্থী চাকরিতে বহাল থাকার অনুপযোগী বলে বিবেচিত হন তবে কোন কারণ দর্শানো ছাড়াই এবং সরকারি কর্ম কমিশনের পরামর্শ ব্যতিরেকে তাঁকে চাকরি হতে অপসারণ করা যাবে;
  • নির্ধারিত প্রশিক্ষণ সাফল্যের সাথে সমাপন, বিভাগীয় পরীক্ষায় উত্তীর্ণ এবং শিক্ষানবিসকাল সন্তোষজনকভাবে অতিক্রান্ত হলে প্রযোজ্য শর্ত সাপেক্ষে তাঁকে চাকরিতে স্থায়ী করা যাবে;
  • প্রশিক্ষণ শুরু হওয়ার পূর্বে তাঁকে একজন জামানতদারসহ ৩০০/- (তিনশত) টাকা মূল্যের নন-জুডিশিয়াল স্ট্যাম্পে এ মর্মে একটি বন্ড সম্পাদন করতে হবে যে, তিনি যদি শিক্ষানবিসকালে অথবা শিক্ষানবিসকাল উত্তীর্ণ হওয়ার ০৩(তিন) বছরের মধ্যে চাকরিতে ইস্তফা দেন, তবে প্রশিক্ষণকালে তাঁকে প্রদত্ত বেতন-ভাতা, প্রশিক্ষণ উপলক্ষ্যে উত্তোলিত অগ্রিম/ভ্রমণভাতা/অন্যান্য ভাতাদি ও তাঁর প্রশিক্ষণের জন্য ব্যয়িত সমুদয় অর্থ ফেরত দিতে তিনি বাধ্য থাকবেন। প্রশিক্ষণের জন্য কর্মস্থল হতে অব্যাহতি প্রদানকারী কর্তৃপক্ষের নিকট এ বন্ড দাখিল করে তাঁকে প্রশিক্ষণে যেতে হবে;
  • তাঁর ইস্তফা সরকার কর্তৃক গৃহীত হওয়ার পূর্বে যদি তিনি তাঁর কর্তব্য-কাজে অনুপস্থিত থাকেন, তবে তাঁর নিকট সরকারের প্রাপ্য সমুদয় অর্থ পাবলিক ডিমান্ড রিকভারী এ্যাক্ট, ১৯১৩ এর বিধান অনুসারে আদায় করা হবে এবং সরকারি কর্মচারি (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা, ২০১৮ অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে;
  • পিএসসির সুপারিশকৃত ফলাফলের ভিত্তিতে প্রচলিত সরকারি বিধি-বিধান অনুযায়ী তাঁর জ্যেষ্ঠতা নির্ধারিত হবে;
  • দাখিলকৃত কাগজপত্র ও তথ্যাদি সঠিক না হলে এ নিয়োগপত্র বাতিল বলে গণ্য হবে;
  • The Government Servants (Conduct) Rules, ১৯৭৯ এর ১৩(১) উপ বিধি অনুযায়ী সকল স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তির বিবরণ সম্বলিত একটি ঘোষণাপত্র প্রার্থীকে চাকরিতে যোগদানের সময় হতে ০১ (এক) মাসের মধ্যে এলজিইডি সদর দপ্তরে জমা দিতে হবে।

বিপিএসসির অধীনে এসিস্টেন্ট ইঞ্জিনিয়ার (বিএসসি ইঞ্জিনিয়ার) নিয়োগ

পরীক্ষায় অংশ নেয়ার যোগ্যতা: UGC অনুমোদিত যে কোনো সরকারি বা বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ৪ বছর মেয়াদি বি.এস.সি ইঞ্জিনিয়ারিং পাশ হতে হবে, এক্ষেত্রে নূন্যতম সি.জি.পি.এ (CGPA) ২.৫০ থাকতে হবে। অথবা AMIE থেকে সেকশন-এ এবং সেকশন-বি পাশ হতে হবে।

BPSC এর অধীনে বি.এস.সি ইঞ্জিনিয়ারদের যোগদান পদবি:

  1. Assistent Engineer
  2. Assistent Manager
  3. Assistent Instructor
  4. Senior Instructor
  5. Assistent Trainer (Trad)"
  6. Workshop Superintendent (IMT) etc.

পদন্নতি এবং বেতন বৃদ্ধি:
কর্মদক্ষতার উপর ভিত্তি করে একজন সহকারী প্রকৌশলী ৯ম গ্রেড থেকে ক্রমান্বয়ে ১ম গ্রেড পর্যন্ত যেতে পারবেন এবং জাতীয় বেতন স্কেল ২০১৫ অনুযায়ী বেতন বৃদ্ধি পাবে।

বিপিএসসি এর অধীনে সাব-এসিস্টেন্ট ইঞ্জিনিয়ার (ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার) নিয়োগ:

পরীক্ষায় অংশ নেয়ার যোগ্যতা: বাংলাদেশ কারিগরি বোর্ড কর্তৃক অনুমোদিত যেকোনো সরকারি বা বেসরকারি পলিটেকনিক ইন্সটিটিউট থেকে ৪ বছর মেয়াদি (আট সেমিস্টার) ডিপ্লোমা ইন ইঞ্জিনিয়ারিং পাশ হতে হবে। এক্ষেত্রে নূন্যতম সি.জি.পি.এ (CGPA) ২.৫০ থাকতে হবে।

BPSC এর অধীনে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারদের নন ক্যাডার হিসাবে ১০ম গ্রেডে (মূল বেতন: ১৬০০০-৩৮৬৪০) নিয়োগ করা হয়ে থাকে এবং তাদের সরকারি ২য় শ্রেণীর কর্মকর্তা হিসাবে চিহ্নিত বা সম্মানিত করা হয়। বিভিন্ন দপ্তর বা অধীদপ্তরের অধীনে কর্মস্থল ভিত্তিক তাদের বিভিন্ন পদবিতে নিয়োগ দিয়ে থাকে বিপিএসসি।

BPSC এর অধীনে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারদের যোগদান পদবি:

  1. Sub-Assistent Engineer
  2. Sub-Assistent Manager
  3. Junior Engineer
  4. Junior Instructor
  5. Junior Trainer (Trad)"
  6. Craft Instructor
  7. Staff Trainer etc.

পদন্নতি এবং বেতন বৃদ্ধি:
কর্মদক্ষতার উপর ভিত্তি করে একজন উপসহকারী প্রকৌশলী ১০ম গ্রেড থেকে ক্রমান্বয়ে ১ম গ্রেড পর্যন্ত যেতে পারবেন এবং জাতীয় বেতন স্কেল ২০১৫ অনুযায়ী বেতন বৃদ্ধি পাবে।

বিপিএসসির অধীনে নার্স নিয়োগ:

বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের অধীনে বিশেষ করে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগে নার্সগণ ১০ম গ্রেডে নন ক্যাডার হিসেবে ২য় শ্রেণীর সরকারি সিনিয়র স্টাফ নার্স হিসেবে নিয়োগ প্রাপ্ত হন। বিপিএসসির নন ক্যাডার নিয়োগ নিতীমালা অনুসারে নার্সদের প্রিলিমিনারি, রিটেন এবং ভাইবা পরীক্ষার মাধ্যমে নিয়োগ প্রদান করা হয়।

চাকরি পরীক্ষায় অংশগ্রহণের যোগ্যতা:

  • প্রার্থীকে বাংলাদেশ নার্সিং এন্ড মিডওয়াইফারি কাউন্সিল কর্তৃক অনুমোদিত যেকোনো সরকারি বা বেসরকারী নার্সিং কলেজ/ ইন্সটিটিউট থেকে ৪ বছর মেয়াদি বিএসসি নার্সিং অথবা, ৩ বছর মেয়াদি ডিপ্লোমা ইন নার্সিং সাইন্স এন্ড মিডওয়াইফেরি অথবা ডিপ্লোমা ইন মিডওয়াইফেরি কোর্স সম্পন্ন হতে হবে।
  • নার্সিং কাউন্সিল কর্তৃক রেজিস্ট্রেশন বা লাইসেন্স থাকতে হবে।
  • প্রার্থীর বয়স ১৮ বছর থেকে ৩০ বছরের মধ্যে হতে হবে। মুক্তিযোদ্ধা কোটার ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ৩২ বছর

বি:দ্র: বর্তমানে ১ম শ্রেণির কর্মকর্তা হিসেবে ৯ম গ্রেডে বিএসসি (BSC) নার্সদের নন ক্যাডার হিসেবে নিয়োগ প্রদান শুরু হয়েছে।

Next Post Previous Post