আমেরিকান ডিবি লটারি ২০২৪ - American DB Lottery 2024

আমেরিকান ডিবি লটারি

আমেরিকান ডিবি লটারি সম্পর্কে নিম্নোক্ত গুরত্বপূর্ণ তথ্য নিম্নরূপ:

  • ডিভি লটারি বা ডাইভারসিটি ভিসা লটারি হল আমেরিকান পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কর্তৃক চালু করা একটি প্রোগ্রাম।
  • এই প্রোগ্রামের মাধ্যমে আমেরিকা প্রতি বছরে বিভিন্ন দেশে থেকে ৫৫,০০০ এর মত লোককে লটারীর মাধ্যমে আমেরিকায় স্থায়ী নাগরিক হবার সুযোগ দেয়।
  • যেসব দেশের অভিবাসি আমেরিকাতে তুলনামূলক কম, শুধু সেই দেশগুলো থেকে ডিভি লটারির এপ্লাই করা যায়।
  • ডিভি ভিসার আবেদনের জন্য কোনো ফি প্রদান করতে হয় না।
  • শুধু লটারতে বিজয়ীদের জন্য ভিসা নেয়ার সময়ে নির্ধারীত একটি ফি জমা দিতে হয়।
  • ডিভি লটারি আবেদনের জন্য আপনার সম্পূর্ণ নাম, সঠিক জন্ম তারিখ, জাতীয় পরিচয় পত্র, শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদ, আবেদনকারীর ছবি, যে বিষয়ে দক্ষ সেই দক্ষতার সনদ, আপনার রাউটিং নম্বর এবং আপনার ব্যক্তিগত মোবাইল নম্বর প্রয়োজন।
  • ডিভি লটারি প্রোগ্রামের মূল লক্ষ্য হল, আমেরিকার সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্য বৃদ্ধি করা।
  • আমেরিকান পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কর্তৃক ১৮৫ রকম ভিসার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
  • ডিভি লটারি এগুলোর মধ্যে একটি, যা মানুষের কাছে অনেক বেশি সমাদৃত ও জনপ্রিয়।

আমেরিকান ডিবি লটারিতে আবেদন প্রক্রিয়ার ধাপগুলো নিম্নরূপ:

  • অনলাইনে আবেদন করুন: আপনাকে অফিসিয়াল ডিভার্সিটি ভিসা লটারি ওয়েবসাইটে থেকে আবেদন করতে হবে।
  • আবেদন ফরম পূরণ করুন: আপনার নাম, জন্ম তারিখ, জাতীয়তা এবং যোগাযোগের বিস্তারিত প্রদান করতে হবে।
  • ফটোগুলি আপলোড করুন: আপনাকে সরকারী নির্ধারিত নির্দেশিকা মেনে ফটোগুলি আপলোড করতে হবে।
  • নিশ্চিতকরণ নম্বর রাখুন: ফলাফল ঘোষণার পর আপনার অবস্থা যাচাই করার জন্য আপনার নিশ্চিতকরণ নম্বর প্রয়োজন হবে।
তবে, বাংলাদেশিরা ডিভি লটারির আবেদন করতে পারবেন না, কারণ বাংলাদেশ এই যোগ্যতা হারিয়েছে। এছাড়াও, যেসব দেশের অভিবাসি আমেরিকাতে তুলনামূলক কম, শুধু সেই দেশগুলো থেকে ডিভি লটারির এপ্লাই করা যায়। তবে আমেরিকা নতুন ঘোষণার মাধ্যমে পণরায় বাংলাদেশিদের জন্য আবেদনের সুযোগ উন্মুক্ত করে দিতে পারে।

কেন বাংলাদেশিরা আবেদন করতে পারবেনা?

মূলত ২০১২ সালে বাংলাদেশ এই যোগ্যতা হারিয়েছে।শর্ত অনুসারে বাংলাদেশ থেকে সর্বোচ্চ ৫০,০০০ লোককে এই ভিসায় আমেরিকায় গ্রহণ করা হয়েছে।
  • বাংলাদেশিদের জন্য পূণরায় এই ভিসা চালু হবে যদি আমেরিকা ৫০,০০০ এর সীমা বৃদ্ধি করে।
  • অথবা যদি অন্যান্য পার্শ্ববর্তী দেশগুলোও তাদের কোটা ছাড়িয়ে যায়।
  • ভিসাপ্রাপ্তদের একাংশ নাগরিকত্ব ত্যাগ করলে বা মারা গেলে পূণরায় বাংলাদেশিরা আবেদন করতে পারবে।
Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url
Advertisement