বিজয় দিবস অনুচ্ছেদ [সহজ ভাষায় ২০২৩ আপডেট]

বিজয় দিবস অনুচ্ছেদ

বিজয় দিবসের অনুচ্ছেদ নিচে তিনভাবে দেয়া হয়েছে। ছোটদের জন্য সহজ করে লেখা হয়েছে। ১০০ ও ২৫০ শব্দের অনুচ্ছেদ Class 6, 7, 8, 9, এসএসসি এর শিক্ষার্খীদের জন্য লেখা হয়েছে।

বিজয় দিবস অনুচ্ছেদ ১০০ শব্দ

১৯৭১ সালের ১৬ই ডিসেম্বর স্বাধীনতা যুদ্ধে আমরা বিজয় লাভ করি। তাই প্রতি বছর ১৬ই ডিসেম্বর বিজয় দিবস হিসেবে পালিত হয়। দীর্ঘ নয়মাস যুদ্ধের পর বিজয় লাভ হয়েছিল। প্রায় ৩০ লাখ মানুষ এ যুদ্ধে শহীদ হন। শতশত মায়ের বুক খালি হয় এ যুদ্ধে। তাই বিজয় দিবসে গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করি শহীদদের প্রতি। হাজারো শহীদের রক্তে আমরা যে বিজয় লাভ করেছি, তা কখনো ভুলা যাবেনা। যে স্বপ্ন নিয়ে যুদ্ধ করেছিলেন এ দেশের মানুষ, সে স্বপ্নকে লালন করবো আমরা। যেদিন আমরা স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ে তুলতে পারবো, সেদিন আমাদের বিজয় পূর্ণতা পাবে। তাই বিজয় দিবসে আমরা এদেশের সুনাগরিক হওয়ার স্বপৎ নেব। যেন আমরা মহান বিজয় দিবসের মর্যাদা রাখতে পারি। সোনার বাংলা গড়তে পারি।

বিজয় দিবস অনুচ্ছেদ ২৫০ শব্দ

বাঙালি জাতির জীবনে সবচেয়ে বড় অর্জন বিজয় দিবস।দীর্ঘ নয় মাস কঠিন যুদ্ধ শেষে ১৯৭১ সালের ১৬ই ডিসেম্বর পাকিস্তানী বাহিনীদের পরাজিত করে এ দিনটিতে আমরা বিজয় লাভ করি। তাই প্রতিবছরই গর্ব ও আনন্দের সাথে এ দিনটিকে আমরা উদযাাপন করি। তাই প্রতি বছর এই দিনটিতে মহান মুক্তিযুদ্ধের কথা স্বরণ করি। 
 পশ্চিম পাকিস্তানিরা প্রথম থেকেই পূর্ব পাকিস্তানিদের ওপর নানা অন্যায় অত্যাচার চালাতো। ওরা ছিনিয়ে নিয়েছিলো আমাদের স্বাধীনতা। কিন্তু অদম্য সাহসী সংগ্রামী বাঙালিরা  রুখে দাড়িয়ে প্রতিবাদ করেছিল এই অন্যায়ের বিরুদ্ধে। যার জন্য সংগঠিত হয়েছিল ১৯৭১ এর মুক্তিযুদ্ধ। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ছিলেন মুক্তিযুদ্ধের মহান নায়ক। তিনি ৭ই মার্চ, লক্ষ জনতাকে যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত হতে বলেছিলেন। তার দেওয়া স্বাধীনতার ঐতিহাসিক সেই ১৮ মিনিটে ভাষণ বাঙালি হৃদয় জাগিয়ে তোলে। তার রক্তগরম করা ঘোষণার মাধ্যমে বাঙ্গালিরা স্বাধীনতা যুদ্ধে অংশ নেয়। বাঙ্গালিদের তখন ভারি কোনো অস্ত্র-সস্ত্র ছিলনা। যার যা কিছু ছিল তাই নিয়ে শত্রুদের সাথে মোকাবেলা করে। টানা নয়মাস রক্তক্ষয়ী সংগ্রামের পর ৩০ লক্ষ জীবণের বিনিময়ে আমরা ফিরে পাই আমাদের স্বাধীনতা। জন্ম নেয় এক স্বাধীন বাংলাদেশ। বিশ্বের বুকে বাংলাদেশ নামে একটি নতুন স্বাধীন ও সার্বভৌম রাষ্ট্রের অভ্যুদয় ঘটে।স্বাধীনতার জন্য যারা জীবন দিয়েছে। তাঁদের পবিত্র স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে এ দিবসে সাভারে অবস্থিত জাতীয় স্মৃতিসৌধে সর্বস্তরের জনগণ পুষ্পস্তবক অর্পণ করে। তোপধ্বনির মাধ্যমে খুব ভোরে দিবসটির সূচনা ঘোষিত হয়। এ দিনে রাজধানী সহ দেশের সবজায়গায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। স্কুল-কলেজ, দোকানপাট, বাড়ি-ঘর ও যানবাহনেও এদিনে লাল সবুজের পতাকা টানানো হয়।নানান আনুষ্ঠিকতা, খেলাধুলা এবং আনন্দের সাথে বিজয় দিবস উদযাপিত হয়। মহান বিজয় দিবস আমাদের গর্ব ও অহংকার। বিজয় দিবস  আমাদের মনে সঞ্চার করে গভীর দেশপ্রেম। জোগায় দৃপ্তপদে সামনে এগিয়ে চলার প্রেরণা।বিজয় দিবসের চেতনায় উজ্জীবিত হয়ে জাতীর উন্নতির জন্য আমাদের সকলকে দেশের উন্নয়নে একযোগে কাজ করে যেতে হবে।

বিজয় দিবস অনুচ্ছেদ class 2

১৬ই ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবস। পাকিস্তানি বাহিণী এই দিনে আত্মস্বমর্পন করেছিল। নয় মাস যুদ্ধের পর আসে এই বিজয়। একারণে ১৬ই ডিসেম্বর আমাদের বিজয় দিবস। এই দিনে শহীদদের স্বরণে আমরা ফুল দিয়ে থাকি।

কিছু গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নত্তর:

বিজয় দিবস অনুচ্ছেদে কত শব্দে লিখবো?

যদি ৫ নম্বরের প্রশ্ন হয় তাহলে সর্বোচ্চ ১০০ থেকে ১৫০ শব্দের মধ্যে লিখলেই হবে। আর যদি ১০ নম্বরের প্রশ্ন হয় তাহলে ২০০ থেকে ২৫০ শব্দে লিখতে পারো। তবে ছোট ক্লাস যেমন ক্লাস টু/ থ্রির স্টুডেন্টরা প্রতি ১ নম্বরের জন্য একটি করে বাক্য লিখলেই যথেষ্ট হবে।

বিজয় দিবস অনুচ্ছেদ কয়টি প্যারায় লিখতে হয়?

বিজয় দিবসসহ অন্য সকল অনুচ্ছেদ অবশ্যাই এক প্যারায় লিখতে হবে।
Next Post Previous Post
1 Comments
  • Anonymous
    Anonymous August 29, 2023 at 6:52 PM

    ধন্যবাদ সবাইকে

Add Comment
comment url