সন্দ্বীপ কেন বিখ্যাত? সন্দ্বীপের ইতিহাস ও ঐতিহ্য

সন্দ্বীপ কেন বিখ্যাত?
সন্দ্বীপের ইতিহাস ও ঐতিহ্য
মুঘল শাসন পতন ঘটিয়ে ১৭৬৩ সালে শুরু হয় ব্রিটিশ শাসন। এরপর ব্রিটিশরা ভারতবর্ষ ত্যাগ করলে নতুন সৃষ্ট রাষ্ট্র পূ্ব পাকিস্তানের অধীনে আসে। সর্বশেষ ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের স্থায়ী ভূখন্ড হিসেবে সন্দ্বীপের পরিচিতি হয়।
সন্দ্বীপ ১৮৮০ সালের পূর্ব পর্যন্ত চট্টগ্রাম জেলার অন্তর্ভুক্ত থাকলেও ১৮৮০ সালে নোয়াখালীর অন্তর্ভুক্ত করা হয়। পরবর্তীতে পূণরায় ১৯৫৪ সালে চট্টগ্রাম জেলার অন্তভুক্ত করা হয়।
১৯৮৪ সালে সন্দ্বীপকে উপজেলায় উন্নীত করা হয়। এরপর উপজেলা নির্বাচনের মধ্য দিয়ে স্থানীয় প্রতিনিধির মাধ্যমে শাসন ও পরিচালনা শুরু হয়। এই উপজেলার বর্তমান চেয়ারম্যান মোহাম্মদ শাহাজাহন বি.এ।
একনজরে সন্দ্বীপের বিবরণ:
- সীমানা : পূর্বে সন্দীপ চ্যানেল, পশ্চিমে মেঘনা নদী এবং নোয়াখালি জেলা, উওরে বামনী নদী ও দক্ষিণে বঙ্গপসাগর।
- আয়তন: অতীতে সন্দ্বীপের আয়তন ছিল ৬৩০ বর্গমাইল। নদীভাঙনের কারণে বর্তমানে এর আয়তন মাত্র ৮০ বর্গমাইল। এর দৈর্ঘ ২৫ মাইল (৪০ কি.মি.) এবং প্রস্থ ৩-৯ মাইল (৫-১৫ কি.মি.)। এই ক্ষুদ্র দীবটিতে আবাগযোগ্য জমির পরিমাণ ৫৬,৫৩০ একর, অনাবাদি ২২,৯১১ একর এবং বনাঞ্চল রয়েছে ১১,২০০ একর।
- জনসংখ্যা: মোট ২,৭৮৬০৫ জন। মোট জনসংখ্যার ভিতর পুরুষ রয়েছেন ১,২৮৬৫৬ জন এবং নারী ১,৪৯৯৪৯ জন। এখানে জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার ০.৪৮% (২০১১ সালের আদশুমারি অনুসারে)।
- শিক্ষা: সন্দ্বীপের সাক্ষরতার হার ৫১.৫০%। সন্দ্বীপ উপজেলায় ১টি মহিলা কলেজ, ৪টি কলেজ (সহপাঠ), ৯টি দাখিল মাদ্রাসা, ৩টি ফাজিল মাদ্রাসা, ৩টি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, ২৮টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়, ১টি জুনিয়র উচ্চ বিদ্যালয়, ১৯টি কিন্ডারগার্টেন, ৩১টি আনন্দ স্কুল এবং ১৪৯টি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে।